ইউক্রেন যুদ্ধ না হলেও দেশে মন্দা আসতো: জিএম কাদের

জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় উপনেতা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, করোনা ও রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক সংকটের একটি কারণ। কিন্তু যুদ্ধ না হলেও হয়ত দেশে এই অর্থনৈতিক মন্দা আসতো। সেক্ষেত্রে হয়তো মন্দা আসতে আরও কিছু সময় লাগতো।

রবিবার জাতীয় সংসদের ২০ তম অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জিএম কাদের বলেন, দেশের রিজার্ভ কমা শুরু হয়েছিল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার ছয়-সাত মাস আগে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর রিজার্ভ কমার পরিমাণ বেড়েছে। বড় সংকট হলো বাংলাদেশ ব্যাংক নিজস্ব পদ্ধতির হিসাবে বলছে রিজার্ভের পরিমাণ ৩৫ দশমিক ৮৫ ডলার। কিন্তু আইএমএফ বলছে রিজার্ভের পরিমাণ ২৭ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার। তিনি বলেন, আইএমএফের কাছে বাংলাদেশ সাড়ে চার বিলিয়ন ডলার ঋণ চেয়েছে। সেটা পাওয়া গেলেও রিজার্ভের অবস্থা সুখকর হবে না। বৈদেশিক মুদ্রার সংকট এখন বড় ধরনের সংকট।

বিশেষজ্ঞদের বক্তব্যের বরাত দিয়ে জিএম কাদের বলেন, এই পরিস্থিতির জন্য কিছু উচ্চাভিলাষী প্রকল্প দায়ী। এগুলোর যথাযথ সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়নি। বাস্তবায়নে বারবার সময় ও ব্যয় বাড়ছে। 

জিএম কাদের বলেন, মানুষ মনে করছে রিজার্ভ সংকট চলছে। সংকট বাড়ছে। বৈদেশিক মুদ্রা প্রতিদিন কমছে। টাকার মূল্যমান কমে যাচ্ছে। একটি বিপর্যয়কর পরিস্থিতির দিকে দেশ যাচ্ছে।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, সার্বিকভাবে অর্থনৈতিক সংকট বাড়ছে। কী পদক্ষেপ নেওয়া যায়, সরকার ভবিষ্যতে কী করবে তা জনগণকে জানানো দরকার। জনগণ জানতে চায়।

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে বিরোধী দলীয় উপনেতা বলেন, ডেঙ্গুর সংক্রমণ এখন মহামারি আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিন ডেঙ্গুতে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। রক্তের প্লাটিলেট আলাদা করার যন্ত্র ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে নেই।

নিজের হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধার করে দেওয়ায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পুলিশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানান তিনি।