১০ ডিসেম্বর বলে দেবো সরকারকে কীভাবে তাড়াবো: গ‌য়েশ্বর

১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা সরকারের নেই জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘১০ ডিসেম্বর জানানো হবে আওয়ামী লীগ সরকারকে কীভাবে তাড়াবো।’

মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের উদ্যোগে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় এ কথা জানান  তিনি।

গ‌য়েশ্বর বলেন, ‘সরকারের অনুমতির অপেক্ষায় জনগণ নেই। সমাবেশ বিএনপি করবেই। ১০ তারিখে কী হবে? ১০ তারিখে জানিয়ে দেবো আওয়ামী লীগ সরকারকে কীভাবে তাড়াবো। সেদিন বলে দেবো কী কী করব। তবে জানিয়ে করবো। অজ্ঞাত কোনও কাজ করবো না।’

তিনি বলেন, ‘১০ তারিখের সমাবেশ করার অনুমতি দেন না। আবার পুলিশ বলে লাঠিসোঁটা নিয়ে মিছিল আসতে পারবে না। আপনারা কাঠের বন্ধুক থানায় রেখে আসেন। আওয়ামী লীগ অলিতে-গলিতে রামদা-কুড়াল নিয়ে মিছিল করে। সেগুলো রেখে আসেন। খালি হাতে আসেন যুদ্ধ করি। আওয়ামী লীগ রামদা-কুড়াল নিয়ে আসবে। পুলিশ বন্দুক নিয়ে আসবে। আমাদের কি বাঁচার অধিকার নাই? সংবিধানে আমার বাঁচার অধিকার আছে। আমার বাঁচার জন্য আমার তো কিছু করতেই হবে।’

হেফাজতকে মাঠে নামার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা আপনাদের মতো মাঠে নামেন। দেশটা আমাদের সবাই মিলে রক্ষা করতে হবে। আমার অনেক সহকর্মী এবং হাজার রক্তের বিনিময়ে পাওয়া এই স্বাধীনতা। তাই সবাই মিলে এ দেশটাকে রক্ষা করতে হবে। আমরা যেমন বাংলাদেশ দেখতে চেয়েছি, তেমন বাংলাদেশ গড়বো।’

গয়েশ্বর বলেন, ‘একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর থেকে ’৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট পর্যন্ত আওয়ামী লীগের অপকর্মের কথা তারা বলে না। তৎকালীন সরকারের সময় খুন হয়েছে, গুম হয়েছে। নবাবগঞ্জের সিরাজ মাস্টারকে দেশে প্রথম খুন করা হয়েছে।’

আয়োজক সংগঠনের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম মাহতাবের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাস‌চিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়া‌জ্জেম হো‌সেন আলাল, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম এবং বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা।