১৩-১৫ সালের নাটকের পুনরাবৃত্তি হচ্ছে: মির্জা ফখরুল

ঢাকায় শনিবার (৩ ডিসেম্বর) রাত থেকে শুরু হওয়া অভিযানকে ২০১৩ ও ২০১৫ সালের পুরনো নাটকের পুনরাবৃত্তি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘২০১৩-২০১৫ সালের পুরনো নাটকেরই পুনরাবৃত্তি করা হচ্ছে এই গণগ্রেফতার এবং নাশকতার ঘটনা ঘটিয়ে। চলছে মেস ও আবাসিক হোটেলে জঙ্গিদের উপস্থিতি সন্দেহে পুলিশের ঘেরাও অভিযান। আমরা যার নমুনা দেখলাম বনানীতে।’

রবিবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর নয়া পল্টনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।

তিনি উল্লেখ করেন, পুলিশের আইজি বলেছেন ১০ ডিসেম্বরের গণসমাবেশকে ঘিরে নাশকতার সুনির্দিষ্ট কোনও তথ্য নেই।’ তাহলে কেন এই নাটক অভিযান? সরকার এক সুদূরপ্রসারী অশুভ মাস্টারপ্ল্যানের পথে হাঁটছে।

লিখিত বক্তব্যে ফখরুল বলেন, ‘আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির উদ্যোগে ঢাকা বিভাগীয় মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সরকার এক সর্বনাশা প্রতিশোধ স্পৃহায় মেতে উঠেছে। সমাবেশে নানাভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার জন্য একের পর এক চক্রান্তজাল বিস্তার করে চলেছে।’

তার দাবি, আওয়ামী সরকারের হাতে কখনোই গণতন্ত্র সুরক্ষিত থাকেনি। এদের ইতিহাস ঐতিহ্যে রয়েছে গণতন্ত্রের বিনাশ ঘটিয়ে কর্তৃত্ববাদী শাসনের উত্থান।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সরকারি চক্রান্ত থেমে নেই। নয়াপল্টন এলাকাকে অস্থিতিশীল করার জন্য সরকারের এজেন্সিগুলো নানা ধরনের নাশকতা ঘটাতে অবতীর্ণ হয়েছে। গতকাল এই কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়। এই বিস্ফোরণের পর পুলিশ আকস্মিক নেতাকর্মীদের পাইকারি হারে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।’

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘গত পরশু দিন মতিঝিলে বিআরটিসির পরিত্যক্ত দোতলা বাসে আগুন দিয়ে বিএনপির ওপর দায় চাপাতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা খেয়ে চুপসে গেছেন ওবায়দুল কাদের সাহেব। অথচ তিনি বিএনপিকে দায়ী করে তারস্বরে নাশকতার কথা বলে যাচ্ছেন।’

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা উপস্থিত ছিলেন।