সংবিধান কোনও ধর্মগ্রন্থ নয় যে পরিবর্তন করা যাবে না: গয়েশ্বর

সংবিধানের জন্য দেশ নয়, দেশের জন্যই সংবিধান মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আগে দেশ স্বাধীন হয়েছে, তারপর সংবিধান রচিত হয়েছে। সংবিধান জনগণের জন্য, কোনও ব্যক্তি বা দলের জন্য নয়। সংবিধান কোরআন, বাইবেল, গীতা অথবা অন্য কোনও ধর্মগ্রন্থ নয় যে তা পরিবর্তন করা যাবে না। এটি  পরিবর্তন করা যায়।

রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাড. রুহুল কবির রিজভী আহমেদসহ সব রাজবন্দিদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) আয়োজিত এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মানববন্ধনে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমরা অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করতে চাই, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে চাই, সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন চাই। যেখানে দেশের সাধারণ জনগণ, যারা দেশের মালিক, তারা তাদের সুচিন্তিত মনে নিরাপদে, নির্বিঘ্নে দিনের ভোট দিনে দেবে, যাকে খুশি তাকে দেবে। এই দাবিতেই আমাদের আন্দোলন-সংগ্রাম।

তিনি বলেন,  সংবিধান মতে দেশ চলছে না। সংবিধানের মতো যদি দেশ চলতো, তাহলে দিনের ভোটে রাতে পুলিশ সিল মারতো না। পুলিশের দায়িত্ব নির্বাচনে ভোটারদের নিরাপত্তা দেওয়া। সেই পুলিশই কিনা আগের রাতে এমন সিল মারলো। সেই নির্বাচনে কোথাও কোথাও ১০০ ভাগেরও বেশি ভোট পড়লো। সেই নির্বাচনে মরা মানুষ, জীবিত মানুষ, বিদেশি মানুষ সবাই ভোট দিতে পারলো। এমনকি যারা ভোটার হয়নি, তারাও ভোট দিলো।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা ইদানিং বলেন, ভোট চোরদের মানুষ বিশ্বাস করে না। আপনারা (আওয়ামী লীগ) স্বঘোষিত ভোট চোর, ভোট ডাকাত। সুতরাং, আপনাদের মানুষ বিশ্বাস করে না। আপনাদের অধীনে কোনও নির্বাচন হবে না।

গয়েশ্বর বলেন, জনগণের প্রতি যদি আস্থা থাকে, যদি বিশ্বাস করেন দেশের মালিক জনগণ, তাহলে জনগণের ক্ষমতা জনগণের কাছে হস্তান্তর করবেন। নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার ব্যবস্থার যাতে পরিবর্তন ঘটে, সেই দিকে আপনি (প্রধানমন্ত্রী) নজর দেবেন আশা করি। তা না হলে জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে কীভাবে আপনাকে পদত্যাগ করাতে হয়, কীভাবে একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন আদায় করতে হয়৷

জাসাস সভাপতি চিত্রনায়ক হেলাল খানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, জাসাসের সদস্য সচিব জাকির হোসেন রোকন, সহসভাপতি লিয়াকত আলী, যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার জাকির হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জাসাসের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম স্বপন প্রমুখ।