দেশের রাজনীতিতে খালেদা জিয়ার চেয়ে জনপ্রিয় কেউ নেই: বুলু

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে খালেদা জিয়ার চেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী এখন পর্যন্ত দেশে নাই। ১৯৯১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ২৩টি আসনে ভোট করেছেন। কিন্তু কোনও আসনে তিনি পরাজিত হননি।

শুক্রবার (১৭ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে রুহুল কবির রিজভী, সাইফুল আলম নীরব, আব্দুল মোনায়েম মুন্না, গোলাম মাওলা শাহীন, এস এম জাহাঙ্গীর হোসেনসহ সব রাজবন্দির নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচি আয়োজন করে ‘স্বাধীনতা অধিকার আন্দোলন’ নামে একটি সংগঠন। এ সময় বুলু এই মন্তব্য করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টে যে ব্যালট বাক্স ছিনতাই হলো, সেই ঘটনা কিন্তু কেবল আজকের নয়। ১৯৭৩ সালে ডাকসু নির্বাচন হয়েছিল। সেই নির্বাচনে ছাত্রলীগের পরাজয় নিশ্চিত জেনে সেদিন ডাকসু থেকে ব্যালট বক্স ছিনতাই করা হয়েছিল। কার নেতৃত্বে ব্যালট বাক্স ছিনতাই হয়েছিল সেটা মানুষ জানে। আমরা দেখেছি, ১৯৭৩ সালে প্রথম ব্যালট বাক্স ছিনতাই এবং নির্বাচনের রেজাল্ট পাল্টে দেওয়ার সংস্কৃতি এ দেশে চালু হয়েছিল।’

তিনি বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচনে নারকীয় কাণ্ড ঘটেছে। এই ঘটনায় ২০ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। এছাড়া অসংখ্য আইনজীবী আহত হয়েছেন। পুলিশ দিয়ে আইনজীবীদের বের করে দিয়ে একতরফা ভোটের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

বুলু আরও বলেন, ‘আমরা এখানে দাঁড়িয়েছি—আমাদের প্রিয় নেতা রুহুল কবির রিজভী, সাবেক ছাত্রনেতা সাইফুল আলম নীরব, যুবদলের দক্ষিণের আহ্বায়ক গোলাম মাওলা শাহীন, ঢাকা মহানগর উত্তরের সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীরসহ অসংখ্য নেতাকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে। আমাদের নেতা খালেদা জিয়া পাঁচ বছর যাবৎ কারা অন্তরীণ আছেন। যে ২ কোটি টাকার বিষয় নিয়ে ওনাকে জেল দেওয়া হয়েছে, সেই দুই কোটি টাকা আজকে ১০ কোটি টাকার রূপান্তরিত হয়েছে ব্যাংকে। রাজনীতিতে খালেদা জিয়ার চেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে নাই। ১৯৯১ সাল থেকে ২৩টি আসনে ভোট করেছেন। কিন্তু কোনও আসনে তিনি পরাজিত হননি। লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে তিনি প্রত্যেকটি আসনে জয়লাভ করেছেন।’

প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন—স্বাধীনতা অধিকার আন্দোলনের চেয়ারম্যান ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনির, বিএনপি নেতা এবিএম মোশাররফ হোসেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ, কৃষক দলের সহ-সভাপতি ভিপি ইব্রাহীম, যুগ্ম সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর প্রমুখ।