কোনও কিছুই আর আ.লীগকে ক্ষমতায় রাখতে পারবে না: জয়নুল আবেদিন ফারুক

আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ করে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবেদিন ফারুক বলেছেন, যতই ষড়যন্ত্র আর গল্প-কাহিনী তৈরি করেন, যতই সফুকে আবার জেল গেট থেকে গ্রেফতার করেন, কোনও কিছুই আপনাদেরকে আর ক্ষমতায় রাখতে পারবে না।

বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী তাঁতী দল আয়োজিত মানববন্ধনে এসব কথা বলেন তিনি।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাড. রুহুল কবির রিজভী আহমেদ,  স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপুসহ সকল রাজবন্দীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে অনুষ্ঠিত হয় মানববন্ধনটি।

মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জয়নুল আবেদিন ফারুক বলেন, আমি আজকে স্পষ্ট ভাষায় আমার দলের পক্ষ থেকে বলতে চাই—যতই ষড়যন্ত্র করেন, যতই গল্প-কাহিনী তৈরি করেন, যতই আমার নেতা তারেক রহমানের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন,  যতই সফুকে আবার জেল গেট থেকে গ্রেফতার করেন, কোনও কিছুই আপনাদেরকে আর ক্ষমতায় রাখতে পারবে না। কারণ মানুষ বুঝতে পেরেছে এই সরকারের অধীনে গণতন্ত্র বলেন, সংবিধান বলেন, মানুষের জীবন বলেন, নিরাপত্তা বলেন,  সংবাদপত্রের সাংবাদিকদের স্বাধীনতা বলেন কিছুই এই সরকারের অধীনে ঠিক নাই। তাই আজকে আমরা বলতে চাই—১০ দফা মেনে নেন, খালেদা জিয়াকে ছেড়ে দেন।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ চিৎকার দিয়ে বলে তারা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের লোক আমি অস্বীকার করি না। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের মূল স্বপক্ষের লোক হচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল। তাই আমরা আজকে জোর গলায় চিৎকার দিয়ে বলতে চাই—আপনাদের এ সরকার গণতান্ত্রিক সরকার না, গরিবের সরকার না। আপনাদের এই সরকার ভোট চুরির সরকার। তাই বাংলাদেশের জনগণ আপনাদের বলতে শুরু করেছে চোর চোর, ভোট চোর।image_6487327(7)

ফারুক বলেন, আলাপ-আলোচনা করে কোনও লাভ নাই। আগে পদত্যাগ তারপর আলোচনা। আগে আপনাদের পদত্যাগ করতে হবে। বাংলাদেশের সংবিধানে খালেদা জিয়া রাতের পর রাত সংসদ চালিয়ে সংবিধানে যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রথা চালু করেছিলেন সেই সংবিধান, আইন আপনারা বাতিল করে নিজেদের অধীনে নির্বাচন করতে যে ষড়যন্ত্র করছেন সেই ষড়যন্ত্র থেকে আপনাদের বের হতে হবে।

তিনি বলেন, যে দেশের মানুষ ডিম মাছ মাংস কবে খেয়েছেন মনে নেই, যে দেশে ডিমের হালি দুই টাকা করে বাড়ছে সেই দেশের খবর রাখেন না। আপনারা খবর রাখেন—বিদ্যুৎ চুরি করে কীভাবে টাকা লুট করা যায়, শেয়ারবাজার লুট করে কীভাবে টাকা জমানো যায়, রিজার্ভ চুরি কীভাবে করা যায়। বাংলাদেশের গরিব মানুষের খবর আপনারা রাখেন না। কারণ ২০১৪ সাল থেকে অবৈধভাবে ক্ষমতায় থেকে আপনারা যেভাবে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে চুরমার করে দিয়েছেন,  তছনছ করে দিয়েছেন সেই অর্থনীতির দিকে একবার নজর দিয়ে দেখুন বাংলাদেশের এই করুণ অবস্থার পেছনে আছে বর্তমান সরকার আওয়ামী লীগ।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষ আর গ্রেফতারকে ভয় পায় না। আপনাদের এই গুম, চাইনিজ রাইফেল দিয়ে হত্যা করাকে আর ভয় পায় না। মানুষ এখন জেগে উঠেছে, আপনাদের অধীনে আর নির্বাচন না। আমরা দেশে থাকতে চাই, নিশ্চিন্তে ঘুমাতে চাই।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের আহ্বায়ক মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব ফিরোজ কিবরিয়ার সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, সদস্য সচিব মজিবুর রহমানসহ সংগঠনের নেতারা।