বিএনপির মহাসমাবেশে যোগ দিতে সকাল থেকেই উপস্থিত কর্মীরা

সরকার পতনের এক দফা দাবিতে মহাসমাবশ ডেকেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। এই দলের এই কর্মসূচিতে অংশ নিতে ভোর থেকেই সমাবেশস্থলে উপস্থিত হতে থাকেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।

শনিবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর নয়া পল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে দুপুর ১১ টায় সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ভোরের আলো ফোটার পর থেকেই দলের নেতাকর্মীরা দলীয় কার্যালয়ের সামনে ও এর আশপাশ এলাকায় ভিড় জমাতে থাকেন। সকাল ১০টা হতেই তা বড় আকারে জনসমাগমে রূপ নেয়। এসময় তারা সরকারবিরোধী নানা স্লোগান দিতে থাকেন।

নয়া পল্টনে বিএনপির নেতাকর্মীরা (ছবি: নাসিরুল ইসলাম)

উপস্থিত বিএনপির নেতাকর্মীরা বলছেন, সব বাধা উপেক্ষা করে সমাবেশে উপস্থিত থাকাটাই একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। তাই যে যেভাবে পেরেছি ঢাকায় এসেছে বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়েছিলাম। মহাসমাবেশের দিন সকাল হতেই দেরি না করেই ছুটে এসেছি।

দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে নয়া পল্টনে বিএনপির সমাবেশে যোগ দিতে এসেছেন দলের নেতাকর্মীরা (ছবি: নাসিরুল ইসলাম)

উপস্থিত কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় ঢাকার বাইরে থেকে আসা নেতাকর্মীদের কেউ কেউ দুই- একদিন আগের থেকেই ঢাকায় অবস্থান নিয়েছিলেন। ঢাকার ভেতরের কর্মীরা আজ সকালেই সমাবেশ স্থলে জড়ো হন। এছাড়া ভোর সকালেও ঢাকার বাইরে থেকে বাসে করে অনেক এলাকার নেতাকর্মীরা এসেছেন।

বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নয়া পল্টনে বিএনপির নেতাকর্মীদের ভিড় বাড়ছে (ছবি: নাসিরুল ইসলাম)

বগুড়া জেলা শেরপুর থানা খানপুর ইউনিয়ন যুব দলের যগ্ন আহ্বায়ক মহব্বত খান বলেন, গতকাল সকাল ১০ টায় বগুড়া থেকে রওনা দিয়ে নানা কৌশল করে ঢাকায় আসতে আসতে রাত ২টা বাজে। পরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে থেকে আজ সকালে আমি আমার সঙ্গে আরেকজনকে নিয়ে আসলাম।

নয়া পল্টনে বিএনপির সমাবেশস্থল ঘিরে রেখেছে পুলিশ (ছবি: নাসিরুল ইসলাম)

বগুড়া থেকে বাসে করে একত্রে আরও লোক এসেছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের চ্যালেঞ্জ ছিল ঢাকায় আসা। ঢাকায় ঢুকেই রাত যে যার মতো কাটিয়েছে। সবারই টার্গেট সমাবেশে যেন উপস্থিত থাকতে পারি।

নয়া পল্টনে বিএনপির সমাবেশস্থল (ছবি: নাসিরুল ইসলাম)

‘ঢাকায় প্রবেশের পথ যেন ভিন্ন দেশের বর্ডার’ মন্তব্য করে চাঁদপুর জেলার কচুয়া ৩ নম্বর বিতারা ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন মুন্সি বলেন, ঢাকায় ঢুকেছি মনে হয়েছে ভারত - বাংলাদেশের বর্ডার পার হয়েছি। এটা কেমন কথা? আমারা কি ঢাকায় সন্ত্রাস করতে আসতেছি যে এত বাধা? এই যে আওয়ামী লীগের এই স্বৈরাচারী ব্যবহার, এর পতন না ঘটনা পর্যন্ত এদেশের মানুষ মুক্তি পাবে না।