জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মির্জা ফখরুলকে বাসায় পৌঁছে দেওয়া হবে, আশা তার স্ত্রীর

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বাসায় পৌঁছে দেওয়া হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম। তিনি বলেন, ‘এভাবে যে তাকে নিয়ে যাবে এটা আামি কল্পনা করতে পারি নাই, আমি মেনে নিতেই পারছি না। আমি আশা করবো, যতটা সম্ভব তাদের কথাবার্তা যা আছে; সেগুলো সেরে তাকে আবার ফেরত দিয়ে যাবেন। আমি আশা করবো তাদের কাছ থেকে…; এইটুকু অন্তুত আশা করতে পারি। তার যে অসুস্থতা সেখানে তার থাকার কথা নয়।’

রবিবার (২৯ অক্টোবর) সকালে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল মির্জা ফখরুলকে আটক করে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর গণমাধ্যমে তিনি এসব কথা বলেন।

গুলশান ৭১ নম্বর সড়কে ‘দিলরুবা’ অ্যাপার্টমেন্ট নামের একটি ভবনের দ্বিতীয় তলার বাসায় থাকেন বিএনপি মহাসচিব। স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য আগের উত্তরার ভাড়া বাসা পরিবর্তন করে গুলশানে আসেন তারা। সকালে শতাধিক পোশাক পরা পুলিশ নিয়ে ভবনটির সামনে যান গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। ভবনটি বাইরে থেকে ঘিরে ফেলা হয়। এসময় বাসায় মির্জা ফখরুলের একান্ত সহকারী ইউনুস মিয়া ও একজন গৃহকর্মী ছিলেন।

পাঁচ থেকে সাত জনের একটি গোয়েন্দা দল মির্জা ফখরুলের বাসায় প্রবেশ করেন। তারা প্রথমে মির্জা ফখরুলের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান। রাহাত আরা বলেন, ‘ওরা সকালে আসলো, ওই সময় আমরা চা খাচ্ছিলাম। এসে প্রথমে বললো যে স্যার আপনার সাথে কথা বলবো। কিছু কথাবার্তা বলে নিচে চলে গেলো। যাওয়ার সময়ে তারা বাসার ভেতরের সিসি ক্যামেরার ডিভাইস এবং এই অ্যাপার্টমেন্টে নিচের সিসি ক্যামেরার ডিভাইস নিয়ে গেছে।’

এর ঠিক ১০ মিনিট পরে আবার তারা ফিরে আসেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমার যতটুকু ধারণা তারা নিচেই ছিল। ১০ মিনিট পরে আবার আসলো যে—স্যার আপনাকে আমাদের সঙ্গে যেতে হবে। যা বলে প্রত্যেকবার…স্যার, উপরের অর্ডার আছে, কথা বলছেন।’
 
তিনি আরও বলেন, ‘এভাবে নিয়ে যাওয়া… আমার বলার কোনও ভাষা নেই। ৭৫ বছর বয়সী একজন লোক। তিনি অসুস্থ, প্রচণ্ড অসুস্থ … এটা বাইরের কেউ বুঝবেন না। এই সময়ে তাকে এই অসুস্থ অবস্থায়… প্রচণ্ড কাঁশি, তার ফুসফুসের সমস্যা… বাংলাদেশে ট্রিটমেন্ট করেন, সিঙ্গাপুরেও গিয়েছিলেন।’