দ্বিতীয় মহাযুদ্ধেও এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি: পিলখানা হত্যাকাণ্ড নিয়ে মঈন খান

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, ‘দ্বিতীয় মহাযুদ্ধেও এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি, যেখানে একসঙ্গে ৫৭ জন অফিসার প্রাণ দিয়েছেন। ঘটনাটি কীভাবে ঘটেছে, এর পেছনে কী ছিল, আজ বাংলাদেশের মানুষ সেই সত্যি জানতে চায়।’

রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বনানীর সামরিক কবরস্থানে পিলখানা ট্র্যাজেডির ১৫ বছর উপলক্ষে বিএনপির পক্ষ থেকে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

এদিকে পিলখানার ঘটনার দিন খালেদা জিয়ার গাড়ি সন্দেহজনক ছিল বলে মন্তব্য করেছেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কর্নেল খারুক খান। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ড. মঈন খান বলেন, ‘আমি ব্যক্তি পর্যায়ে কোনও কথা বলতে চাই না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি একটি কথাই বলবো, বিচারকার্যে হস্তক্ষেপ করা যুক্তিযুক্ত নয়। আমাদের বিচারকরা তাদের নীতিতে অবিচল থেকে ন্যায়বিচারের মাধ্যমে এ বিষয়টি অতি দ্রুত সুরহা করবেন, ১৫ বছর পরে সেই প্রত্যাশা করি।’

ড. মঈন খান বলেন, ‘১৫ বছরের আগে বিডিআরের যে শোকাবহ ঘটনা ঘটেছিল, সেই ক্ষত দিয়ে আজও বাংলাদেশের মানুষের বুকের রক্ত ঝরে পড়ছে। আমরা আজও জানি না এই ঘটনার পেছনের ইতিহাস কী। আমরা সেই শোক বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছি।’

মানুষ সেই সত্যি জানতে চায় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয় মহাযুদ্ধেও এমন কোনও স্থানে এমন ঘটনা ঘটেনি, যেখানে একসঙ্গে ৫৭ জন অফিসার প্রাণ দিয়েছেন। ঘটনাটি কীভাবে ঘটেছে, এই ঘটনার পেছনে কারা ছিল, আজ মানুষ সত্য জানতে চায়।’

মামলার বিচারকার্য কেন বিলম্ব হচ্ছে, তা উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বাংলা ভাষায় একটি কথা আছে, বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদে। আমরা শুনেছি সেই বিচারকার্য এখনও ঝুলে আছে। কেন ঝুলে আছে? যাদের কারাবন্দী করে রাখা হয়েছে, তাদের আজ পর্যন্ত বিনা বিচারে কারাবাস করা হয়েছে। একটি জাতির ইতিহাসে এমন দুঃখজনক ঘটনা কখন ঘটেছে, তা আমাদের জানা নেই।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিক যেন সুশাসন ও আইনের মাধ্যমে ন্যায় বিচার ফিরে পায়। অপরাধী শাস্তি পাবে, সেই সম্পর্কে আমাদের কিছু বলার নেই।’