আমরা মিথ্যা আশ্বাস দেই না: খালেদা জিয়া

খালেদা জিয়াবিএনপি মুখে যা বলে তাই করে। অতীতে বিএনপি ইতিবাচক রাজনীতি করেছে, ভবিষ্যতেও করবে। আমি ভবিষ্যতমুখী পরিকল্পনার কথা বলছি এবং এসব কেবল মুখের কথা নয়। আমরা যা বলি, করে দেখাই। আমরা কখনো ১০ টাকা কেজি দরে চাল, বিনামূল্যে সার ও ঘরে ঘরে চাকরি দেওয়ার মতো মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে সমর্থন লাভের চেষ্টা করি না। আজ (শনিবার) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনে বিএনপির ষষ্ঠ কাউন্সিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় খালেদা জিয়া এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিরোধী দলের থেকেও দেশ ও জনগণের স্বার্থে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে বিকল্প প্রস্তাব দিয়ে সৃজনশীল রাজনীতি করতে চেষ্টা করেছে বিএনপি। কিন্তু ক্ষমতাসীনদের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি। দুনিয়া এখন বদলে গেছে। ২১ শতকে এসে জাতিগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেছে। চলমান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে যে যার পথে এগিয়ে যাচ্ছে। মেধা থাকার পরও ঐক্য-শৃঙ্খলা ও সমন্বিত পদক্ষেপের অভাবে আমরা পিছিয়ে পড়ছি। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
এর আগে দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কাউন্সিলে বক্তব্য দেওয়া শুরু করেন। বক্তব্যের শুরুতে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকসহ জাতীয় নেতাদের স্মরণ করেন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের মাগফেরাত কামনা করেন। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তার স্বামী বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়ার প্রতিও তিনি শ্রদ্ধা জানান।

খালেদা জিয়া বলেন, প্রবৃদ্ধির হার বাড়িয়ে এর সুফলে সুষম বণ্টনের মাধ্যমে বৈষম্যের সমস্যাকে মোকাবেলা করতে চায় বিএনপি। পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ এবং মাথাপিছ ‍আয় ৫ হাজার মার্কিন ডলার দাঁড়াবে। এজন্য বার্ষিক প্রবৃদ্ধি হার ডাবল ডিজিটে উন্নিত করতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করা হবে জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, জিয়াউর রহমানের গণভোটের উদ্যোগ আবারও নেওয়া হবে। তিনি বলেন, জনগণ যে সার্বভৌমত্ব ক্ষমতার উৎস, আমরা সেটা আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করি। তাদের হাতেই দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে চাই। তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে থ্রিজি এর সমন্বয় ঘটাতে চান। তা হলো- গুড পলিসি, গুড গভারনেন্স এবং গুড গভার্নেন্ট, অর্থাৎ সুনীতি, সুশাসন ও সুসরকার। এছাড়া নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, পাবলিক সার্ভিস কমিশন, আইন কমিশন ও ইউজিসির মতো সাংবিধানিক ও আধা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুর্নীতি, অনিয়ম ও দলীয়করণমুক্ত করা হবে। এগুলোর দক্ষতা ও বিশ্বাসযোগ্য পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হবে।


/আরএআর/ইউআই/