শ্রমজীবীদের অধিকার আদায়ে বদ্ধপরিকর বিএনপি

নির্বাচিত সরকার না থাকলে জনগণের দুঃখ কেউ শোনে না: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দেশের ৮ কোটি শ্রমিকের মধ্যে অর্ধেক নারী। এই শ্রমিকদের অবহেলা করে মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়। তিনি  বলেন, দেশে গণতান্ত্রিক সরকার না থাকায় জনগণের দুঃখ-দুর্দশার কথা শোনার কেউ নেই। শ্রমজীবীদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে বিএনপি বদ্ধপরিকর।

বৃহস্পতিবার (১ মে) বিকাল ৩টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত শ্রমিক সমাবেশে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তরেক রহমান বলেন, ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের পর দ্রব্যমূল্য কমলেও তা আবার বেড়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, শ্রমজীবীদের পাশ কাটিয়ে রাষ্ট্র গঠন সম্ভব নয়।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, নির্বাচিত সরকার না থাকলে জনগণের দুঃখ কেউ শোনে না। কৃষক-শ্রমিকদের কথা নেই, অথচ সংস্কার নিয়ে শোরগোল চলছে। বিএনপি কখনও পালায়নি, কারণ আমরা জনগণের পক্ষে আছি।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম খান নাসিম।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার ছাড়া শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা সম্ভব নয়।

স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, শ্রমিকরা দেশের রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে সবকিছু তৈরি করে, অথচ তারাই সবচেয়ে অবহেলিত। শ্রম সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো আগামী মে দিবসের আগেই বাস্তবায়নের দাবি জানান তিনি।

মির্জা আব্বাস বলেন, আমি সংস্কার চাই, তবে তা যেন ভোটবিহীন শাসনকে প্রশ্রয় না দেয়। তিনি প্রশ্ন তোলেন, আমরা কি ফ্যাসিবাদ তাড়িয়ে নিজেরাই ফ্যাসিস্ট হচ্ছি?

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বিএনপির একমাত্র অপরাধ তারা নির্বাচন ও গণতন্ত্র চায়। বিএনপিকে প্রতিপক্ষ ভেবে সরকারের দমন-পীড়ন চলছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

শ্রমিক দলের প্রধান সমন্বয়ক শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস সমাবেশে দলীয় ঘোষণাপত্র পাঠ করেন। তিনি জানান, মে দিবস ডাক দিচ্ছে—অবিলম্বে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে, শ্রমিকদের জন্য রেশনিং চালু করতে হবে।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন— দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, প্রচার সম্পাদক সালাহউদ্দিন টুকু, মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস, কৃষক দলের সভাপতি হাসান জামিল তুহিন, যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী প্রমুখ।

দুপুর ২টায় শুরুর কথা থাকলেও এর আগেই ঢাকা ও আশপাশের জেলার হাজারো নেতাকর্মী খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে জড়ো হন। নয়াপল্টন, ফকিরাপুল ও কাকরাইল এলাকায় সৃষ্টি হয় জনসমুদ্র।