ফারাক্কা লংমার্চ শুধু মিছিল নয়, ছিল অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন: গোলাম মোস্তফা

ফারাক্কা লংমার্চ কেবল একটি মিছিল ছিল না, ছিল বাংলাদেশের পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে একটি ঐতিহাসিক আন্দোলন। পদ্মা নদীর (গঙ্গা) বাংলাদেশ অংশে প্রবেশমুখে ফারাক্কা বাঁধের কারণে দেশের উত্তরাঞ্চলে সেচের পানির সংকটে প্রায় দুই কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। শুধু তা-ই নয়, দেশের দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলেও আরও প্রায় চার কোটি মানুষ এর বিরূপ প্রভাবে ভুগছেন। এই পরিস্থিতি থেকে দেশের মানুষকে রক্ষা করতে ভারতীয় পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের কোনও বিকল্প নেই—এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ)-এর মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া।

শুক্রবার (১৬ মে) ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চ দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি) আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ‘যতই সময় গড়াচ্ছে, ততই ফারাক্কা বাঁধের নেতিবাচক প্রভাব বাংলাদেশের মানুষকে আতঙ্কিত করছে। প্রতি বছর শুষ্ক মৌসুমে পদ্মা ও গঙ্গা নদীতে চরের বিস্তার একটি নিয়মিত দৃশ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। একই সঙ্গে গঙ্গা-পদ্মার শাখা-উপশাখাসহ শতাধিক নদ-নদী ধীরে ধীরে মৃত খালে পরিণত হচ্ছে।’

ন্যাপ মহাসচিব আরও বলেন, ‘ফারাক্কা বাঁধের কারণে নদীর নাব্যতা হ্রাস পাচ্ছে। পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে ১৯৭৬ সালের এই দিনে মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে ফারাক্কা লংমার্চ অনুষ্ঠিত হয়। তাঁর দেখানো পথ অনুসরণ করে আজও আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।’

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন এনডিপির মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা। তিনি বলেন, ‘ফারাক্কা বাঁধের কারণে উত্তরবঙ্গের জীববৈচিত্র্য আজ হুমকির মুখে পড়েছে। গঙ্গা একটি আন্তর্জাতিক নদী হলেও ভারত আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে সেখানে বাঁধ নির্মাণ করেছে। এর ফলে পদ্মার স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যাহত হয়ে নদীটি প্রায় মৃতপ্রায় হয়ে পড়েছে। অথচ আওয়ামী লীগ সরকার এই বিষয়ে আপসের রাজনীতি করেছে। আমরা অবিলম্বে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী বাংলাদেশের ন্যায্য পানির হিস্যা নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি।’

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা। আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সিভিল রাইটস সোসাইটির চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন, এনডিপির ভাইস চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব হায়াত মাহমুদ প্রমুখ।