তারা কি একাত্তরের শহীদ, ৮৬’র নির্বাচনের কথা ভুলে গেছে, প্রশ্ন রিজভীর

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, যেকোনও ইস্যুতে ধর্ম ও শহীদদের টেনে এনে দুই-একটি রাজনৈতিক দল সরকারের ওপর প্রভাব বিস্তার করছে। তিনি বলেন, একটি সুনির্দিষ্ট এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে দুই-একটি রাজনৈতিক দল শহীদদের রক্ত ও ধর্মকে টেনে নিয়ে আসে।’

সোমবার (৯ জুন) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে এসব কথা বলেন রুহুল কবির রিজভী।

তিনি উল্লেখ করেন, ‘এই সরকারের মধ্যে অনেক উপদেষ্টা আছেন, যারা প্রচণ্ডভাবে বিএনপি-বিদ্বেষী।অন্তর্বর্তী সরকার দুই-একটি রাজনৈতিক দলের কথা শুনে পেন্ডুলামের মতো দুলছে। পরিকল্পিত এজেন্ডা বাস্তবায়নের অংশ এটি।’

ডিসেম্বর নির্বাচনের উপযুক্ত সময় বলে মন্তব্য করে বিএনপির মুখপাত্র বলেন, ‘কোনও একটি রাজনৈতিক দলের নেতা বলছেন, শহীদদের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয়— এমন কাজ করা যাবে না। তারা একাত্তরের শহীদদের কথা কি ভুলে গেছেন, ৮৬ সালের নির্বাচনের কথা কি ভুলে গেছেন। আসলে তারা ধর্মকে পুঁজি করে রাজনীতি করতে চান।’

তিনি বলেন, ‘এপ্রিল মাসেতো প্রচণ্ড খরতাপ থাকে, ঝড় বৃষ্টি হয়, এসএসসিহ পরীক্ষাসহ অন্যান্য পরীক্ষা থাকে, মাদ্রাসার পরীক্ষা থাকে। সে সময় কেবল রোজার ঈদ শেষ হবে। এপ্রিলে নির্বাচন হলে রমজানে প্রচারণা চালাতে হবে। রোজা রেখে প্রচারণা চালাবে কীভাবে। মানুষ রোজা রাখবে, না নির্বাচনের প্রচারণা করবে।’

রিজভী বলেন, ‘জনগণের আবেগকে ধারণ করলে সরকার বিতর্কিত হবে না। তবে, বিশেষ কোনও দলকে সুবিধা দিতে গেলে সরকারের প্রতি মানুষের আস্থা নষ্ট হবে।’

বিএনপি নেতা বলেন, ‘দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব বাড়লেও, উল্লেখযোগ্য কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না অন্তর্বর্তী সরকার।  কোরবানি পশুর চামড়ার  ন্যায্য দাম থেকে চামড়া বিক্রেতারা বঞ্চিত হয়েছেন বলেও জানান বিএনপি এই সিনিয়র নেতা।

রিজভী প্রশ্ন করেন, সাধারণ মানুষ স্বাচ্ছন্দে ঈদ করতে পেরেছে কিনা? চাঁদাবাজ-দখলদারদের কেন ধরা হচ্ছে না? তিনি বলেন, ‘সব অন্যায়ের বিপক্ষে বিএনপির অবস্থান।’