দেশকে যত দ্রুত নির্বাচনের ট্র্যাকে ওঠানো যাবে তত মঙ্গল: মির্জা ফখরুল

‘যত দ্রুত দেশকে নির্বাচনের ট্র্যাকে ওঠানো যাবে, ততই দেশের জন্য মঙ্গল’ বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বুধবার (৯ জুলাই) রাজধানীর নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস এবং অধ্যাপক সিরাজ উদ্দিন আহমেদকে দেখার পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব এ মন্তব্য করেন।

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নিয়ে যখন দেশের মানুষের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে, তখন একটি মহল এটার বিরোধিতা করে নানা ধরনের বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন—এ ব্যাপারে আপনার প্রতিক্রিয়া কী? এমন প্রশ্নে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘‘আমি এ কথাগুলোর উত্তর কতবার দিয়েছি। দুদিন আগেও আমরা সংবাদ সম্মেলন করেছি। একটা কথা বলতে চাই, গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় শক্তি যদি কেউ থাকে, সেটা হচ্ছে বিএনপি এবং সবচেয়ে বেশি লড়াই যদি করে গণতন্ত্রের জন্য, সেটা বিএনপি। বাংলাদেশকে একদলীয় শাসনব্যবস্থা থেকে বিএনপি নিয়ে এসেছে বহুদলীয় গণতন্ত্রে এবং পরবর্তীকালে সংসদীয় গণতন্ত্রে।”

তিনি বলেন, ‘‘সুতরাং, এ বিষয়ে প্রশ্ন করার কোনও প্রয়োজন নেই। একটি জিনিস হলো, দেশটাকে সবাই মিলে বাঁচাতে হবে। প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব হচ্ছে—দেশকে সঠিক ট্র্যাকে ওঠানো এবং যত দ্রুত সেটাকে ওঠানো যাবে, ততই মঙ্গল।”

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘যারা মনে করে নির্বাচনের প্রয়োজন নেই, আমার মনে হয়—তারা আবার চিন্তা করবেন। নির্বাচন প্রয়োজন জনগণের জন্য।”

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘একটা নির্বাচিত সরকার দরকার, যে সরকারের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক থাকবে। সে কারণেই আমরা বলছি—যে সংস্কারগুলো, সেই সংস্কারে আমরা অংশ নিচ্ছি। প্রত্যেকটি সংস্কারের দাবি আমরাই তুলেছি। সুতরাং, সংস্কার এবং নির্বাচন এর মধ্যে কোনও সাংঘর্ষিকতা নেই। দুটি একসঙ্গে চলবে।”

বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় আগারগাঁওয়ে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্স অ্যান্ড হসপিটালে চিকিৎসাধীন অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুসকে দেখতে যান বিএনপি মহাসচিব। তিনি চিকিৎসকদের সঙ্গে তার সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে অবহিত হন।

দীর্ঘদিন ধরে অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস নিউরো সমস্যায় এ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

এরপর একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অধ্যাপক সিরাজ উদ্দিন আহমেদকে দেখতে যান মির্জা ফখরুল এবং তার চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন।

ফ্যাসিস্ট আমলের বড় ভিক্টিম বিএনপি

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘আপনারা খুব ভালো করে জানেন, আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে নির্যাতন-হত্যা-গুম-খুনের সবচেয়ে বড় ভিক্টিম আমাদের দল বিএনপি। আমার নামেও ১১২টা মামলা এবং আমার ১৩ বার জেলে যাওয়ার সুযোগ হয়েছে।”

‘‘আমরা সব সময় মনে করি, যেসব রাজনৈতিক দল ফ্যাসিবাদের পক্ষে থাকবে, যারা ফ্যাসিবাদের পক্ষে কাজ করবে, বিশেষ করে আওয়ামী লীগ করেছে—তাদের প্রত্যেক ব্যক্তির শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা উচিত এবং শাস্তি হওয়া উচিত।”

তিনি বলেন, ‘‘বিশেষ করে আওয়ামী লীগের প্রধান শেখ হাসিনা, তিনি এককভাবে আমি মনে করি, দ্য রেসপন্সিবল ফর দ্য কিলিং অব দ্য থাউজেন্টস অব পিপল। তার বিচার শুরু হয়েছে। আমরা আশাবাদী, তার এবং তার সঙ্গে যারা গণহত্যার সঙ্গে এবং এই ফ্যাসিস্ট আক্রমণের সঙ্গে জড়িত, তাদের প্রত্যেকেরই বিচার হবে।”