হরতালের সকালে ঝটিকা মিছিলে দায় সারলো জামায়াত


জামায়াতের ঝটিকা বিক্ষোভমানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মীর কাসেম আলীর ফাঁসির রায় আপিল বিভাগে বহাল রাখার প্রতিবাদে বুধবার দেশজুড়ে জামায়াতের সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলছে। সাতসকালেই ঝটিকা বিক্ষোভের মধ্য দিয়ে দলের অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড কাসেমের প্রতি দায় সেরেছেন নেতাকর্মীরা। এসব ঝটিকা বিক্ষোভে বিগত দিনে কেন্দ্রীয় ও মহানগর পর্যায়ের নেতারা থাকলেও বুধবারের কর্মসূচিতে তাদের কাউকে দেখা যায়নি। এমনকি কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, ঢাকা মহানগর কমিটির কাউকেই রাজধানীর কোনও মিছিলে দেখা যায়নি।
এদিন সকাল থেকেই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ৩ মিনিট থেকে ১৫ মিনিটের বিক্ষোভ মিছিল করেন জামায়াত ও শিবিরের নেতাকর্মীরা। রাজধানীতে ফজরের নামাজের পর থেকেই ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে এলাকার নামে ব্যানার হাতে ঝটিকা মিছিল করা হয়। তবে এসব মিছিলে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
জামায়াতের মীরপুর পূর্ব থানা কমিটি হরতালের সমর্থনে সকালে এক বিক্ষোভ মিছিল করে। ওই মিছিলে উপস্থিত ছিলেন মহানগরী মজলিশে শুরা সদস্য ও থানা সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ জুবায়ের, থানা শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য মুয়াজ, মীতুল, মাহবুব, সেলিম, ইছাহাক এবং ছাত্রনেতা এনামুল হক, বোরহান প্রমুখ।

হরতালের সমর্থনে সবুজবাগ থানার উদ্যোগে নগরীতে মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। বিমানবন্দর থানার উদ্যোগে সকাল সাড়ে ৬টায় বিক্ষোভ মিছিল হয়। তুরাগ থানার উদ্যোগে সকাল পৌনে সাতটায় একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। খিলক্ষেত থানা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে সকাল সাড়ে ৬টায় খিলক্ষেত বাজারে হরতালের সমথর্নে মিছিল করে।

কদমতলী পশ্চিম থানার উদ্যোগে থানা সেক্রেটারি মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে সকাল ৭টায় কদমতলী বই বাজার এলাকায় মিছিল করেছে জামায়াত। উত্তরা পূর্ব থানার উদ্যোগে সকাল ৭টায় জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর মুক্তি ও অবৈধ ট্রাইব্যুনাল ভেঙে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ৭টায় মিছিল করেছে তেজগাঁও থানা জামায়াত। এছাড়া হাজারীবাগ, চকবাজার, ডেমরা, পল্টন, কমলাপুর, রমনা, যাত্রাবাড়ীসহ নানা স্থানে মিছিল হয়।

ঢাকার বাইরে রাজশাহী, বরিশাল, খুলনা, রংপুর, কুমিল্লা, গাজীপুর, নোয়াখালী, দিনাজপুর, ময়মনসিংহ, পাবনা, ফেনী, সিরাজগঞ্জ, ফরিদপুর, সাতক্ষীরা, ফরিদপুর, নারায়াণগঞ্জ, বরগুনা, টাঙ্গাইল, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ, কক্সবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সকালের পর আর কোথাও নেতাকর্মীদের দেখা যায়নি।

এসটিএস/এজে