অধিকার আদায়ে জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে মামলা করেছি, অব্যাহতিপ্রাপ্ত মৃধা

জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক উপদেষ্টা জিয়াউল হক মৃধা বলেছেন, ‘আমাকে যে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে, তা বেআইনি, অবৈধ। যার কোনও ভিত্তি নেই। ঢাকা যুগ্ম জেলা জজ আদালতে এ-সংক্রান্ত বিষয়ে আমি সেখানে মামলা করেছি। সিভিল রাইট ও নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য এ ধরনের মামলা করা হয়। এটা কোনও ফৌজদারি মামলা নয়; এখানে জেল-জুলুম হবে না। এই মামলা অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য।’

বুধবার (২ নভেম্বর) ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটিতে সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের ক্ষমতা প্রয়োগ ও দলীয় কার্যক্রমের ওপর আদালতের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা’ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

জিয়াউল হক মৃধা বলেন, ‘জি এম কাদের তার এক বিশ্বস্ত ব্যক্তিকে দিয়ে আমার কাছে জানতে চান কোন দলের পক্ষে আছি। আমি বলেছি ম্যাডামের পক্ষে আছি। কারণ, তিনি পল্লিবন্ধু হোসেইন মুহাম্মদ এরশাদের স্ত্রী। জাতীয় পার্টি হচ্ছে এরশাদের পরিশ্রমের ফসল, ঘামের ফসল, চিন্তা-চেতনার ফসল এবং মনমননের ফসল। কাজেই রওশন এরশাদের এই পার্টিতে আমি আছি। এরপরই জি এম কাদের আমাকে দল থেকে অব্যাহতি দেন।’

জি এম কাদের আইনের ঊর্ধ্বে নন, তিনি আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে রাষ্ট্রদ্রোহ কাজ করেছেন উল্লেখ করে মৃধা বলেন, ‘সম্মেলনের আগে জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে রিট হলো। এই রিটে রুল জারি করা হয়েছে। জি এম কাদের সাহেব তার কোনও জবাব দেয়নি। তিনি আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কাউন্সিল করেছেন। আমি মনে করি দেশের আইনের প্রতি জি এম কাদেরের কোনও সম্মান নেই। বিচার বিভাগের প্রতি উনার কোনও আস্থা নেই। যে নাগরিকের বিচার বিভাগ এবং আইনের প্রতি শ্রদ্ধা থাকে না, সে নাগরিকের কার্যক্রম রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল।’

উল্লেখ্য, গত ১৭ নভেম্বর রওশন এরশাদ ইস্যুতে মসিউর রহমানের রাঙ্গার পর এবার সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মৃধাকে জাতীয় পার্টির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যসহ দলীয় সব পদপদবি থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন দলটির চেয়ারম্যান জি এম কাদের।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য এম এ গোফরান, অধ্যাপক মো. ইকবাল হোসেন রাজু, সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক নুরুল ইসলাম মিলন, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী মামুনুর রশিদ, সাবেক সংসদ সদস্য জাফর ইকবাল সিদ্দিকি, নূরুল ইসলাম নুর প্রমুখ।