জিএম কাদের ও চুন্নুকে দায়িত্ব দিলেন রওশন!

জাতীয় পার্টি (একাংশ) চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ বলেছেন, ‘দেশের রাজনীতিতে একটা ইতিবাচক ধারা প্রবর্তন করে যেতে চাই। সেই রাজনীতির ধারক ও বাহক হবে জাতীয় পার্টি। এর আগে যে দুজন (জি এম কাদের ও মুজিবুল হক চুন্নু) পার্টির শীর্ষ পদে ছিলেন, তাদের ব্যর্থতার জন্য পার্টিতে বিপর্যয় নেমে এসেছিল।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘সেই দুজনকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দল থেকে তাদের বাদ দেওয়া হয়নি। তারা সংসদে জাতীয় পার্টির প্রতিনিধিত্ব করবেন। তারা সেখানে যোগ্যতার প্রমাণ দিতে পারবেন।’

শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) গুলশানে নিজ বাসভবনে জাতীয় মহিলা পার্টির (একাংশ) নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন জাপা চেয়ারম্যান।

পার্টিতে কোনও বিভেদ নেই। সর্বস্তরের নেতা-কর্মী ঐক্যবদ্ধ আছে এবং থাকবে দাবি করে তিনি বলেন, ‘আমি কোনোভাবেই পার্টিকে ছোট করতে পারি না। তাই এরশাদভক্ত যাদের দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছিল, যাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল কিংবা যাদের বহিষ্কার করা হয়েছিল, আমি তাদের সবাইকে এরশাদের রেখে যাওয়া পতাকাতলে ফের নিয়ে এসেছি।’

মহিলা পার্টির নেতাদের প্রতি রওশন এরশাদ বলেন, ‘নারীর সেই অধিকার তোমাদের আদায় করে নিতে হবে। দলের মধ্যেও নারী নেতৃত্বকে নিজ অধিকার কেড়ে নিতে সচেষ্ট হতে হবে। শুধু দুঃখ-ক্ষোভের কথা মুখে বললেই চলবে না। প্রতিবাদ করে অধিকার আদায় করে নিতে হবে।’

জাতীয় পার্টির (একাংশ) যুগ্ম মহিলাবিষয়ক সম্পাদক শাহনাজ পারভীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন পার্টির কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, দলের মহাসচিব কাজী মামুনূর রশিদ, রাহগির আল মাহি সাদ এরশাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম সরোয়ার মিলন, ঢাকা মহানগর উত্তর জাপার আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম সেন্টু, সুনীল শুভরায়, রফিকুল হক হাফিজ, ফখরুজ্জামান জাহাঙ্গীর, সাবেক এমপি এম এ গোফরান, নুরুল ইসলাম মিলন, নুরুল ইসলাম নূরু, জাহাঙ্গীর আলম পাঠান, শফিকুল ইসলাম শফিক, খন্দকার মনিরুজ্জামান টিটু, পীরজাদা জুবায়ের আহমেদ, মোস্তাকুর রহমান মোস্তাক, ফখরুল আহসান শাহজাদা, শারমিন পারভিন লিজা, মাহমুদা রহমান মুন্নি, হাসনা হেনা।