একসঙ্গে কাজ করবে তরিকত ও হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ

তরিকত ও হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদদেশে জঙ্গিবাদের উত্থান, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও নির্যাতন এবং মায়ানমারে রোহিঙ্গাদের নির্বিচারে হত্যার প্রতিবাদে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন (বিটিএফ) ও হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর পুরানা পল্টনের দারুস সালাম আর্কেড ভবনে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভা শেষে দুই সংগঠনের নেতারা এসব জানান।
একই সঙ্গে এই দুই সংগঠন যৌথভাবে ৮ দফা দাবি জানিয়েছে। আট দফা দাবির কথা জানিয়ে বিটিএফের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি বলেন, ‘সাঁওতাল ও হিন্দুদের ওপর হামলা-নির্যাতন বেড়েই চলেছে। দেশে জঙ্গিবাদের উত্থান হয়েছে। স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে বাংলাদেশ বর্তমানে অশনি সংকেতের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। ফলে এখন সময় এসেছে এসব অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, প্রতিরোধ ও সচেতনতা গড়ে তোলার।’
মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা এগিয়ে যাবো উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে এমন ভয়াবহ ঘটনার প্রতিবাদ জানাবো। তাই আজ আমরা দুই সংগঠন এক হয়েছি। দুই সংগঠন মিলে ৮ দফা দাবির বিষয়েও একমত হয়েছি।’

তাদের আট দফা দাবির মধ্যে রয়েছে হিন্দুদের ক্ষতিগ্রস্ত সমস্ত মন্দির, উপাসনালয়, প্রতিমা, ঘরবাড়ি পুনর্নিমাণের ব্যবস্থা করা, সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন, শাহাবুদ্দিন কমিশন রিপোর্টের সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়ন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলামানদের ওপর হত্যা ও হামলা বন্ধে জোরালো ভূমিকা রাখা ইত্যাদি।

মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিটিএফ মহাসচিব লায়ন এমএ আউয়াল, যুগ্ম মহাসচিব ডা. সৈয়দ আবু দাউদ মসনবী হায়দার, ড. সৈয়দ মতাওয়াক্কিল বিল্লাহ রাব্বানী, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত প্রমুখ।

/আরএআর/এমও/