গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সিপিবি-বাসদ ও বাম মোর্চার বিক্ষোভ

গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি ও বিদ্যুতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের প্রতিবাদে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে সিপিবি-বাসদ ও গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা। মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

সিপিবি-বাসদ ও বাম মোর্চার বিক্ষোভবিক্ষোভকালে বক্তারা, প্রস্তাবিত ২০১৭-১৮ লুণ্ঠন সহায়ক গরিব মারার বাজেট প্রত্যাখ্যান করে তা বাতিলের দাবি জানান। এছাড়া হাওরবাসীর জন্য বরাদ্দ জলমহাল ইজারা বাতিলের দাবিও জানায় জোট দু’টি।

সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম বলেন, ‘এই বাজেট লুটপাটকারীদের স্বার্থে প্রণীত। এবারের বাজেট যেমন সবচেয়ে বেশি ব্যয়ের বাজেট, তেমনই সবচেয়ে বড় ঘাটতির বাজেট।’

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী জনগণের ওপর ট্যাক্সের বোঝা চাপিয়ে আমলা-ব্যবসায়ী তোষণের বাজেট প্রণয়ন করেছেন। সরকার জনগণের প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘ব্যাংক লুটপাট, দেশের টাকা পাচার করে তা পূরণের জন্য জনগণের উপর করের বোঝা চাপানো হচ্ছে। এই সরকার লুটপাট ও দুর্নীতিবান্ধব এবং জনগণের শত্রু হিসেবে যতদিন টিকে থাকবে ততই জনদুর্ভোগ বাড়বে। বাম গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ ছাড়া জনগণের স্বার্থ রক্ষা করা যাবে না।’

বাসদ নেতা রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, ‘সমস্ত যুক্তি উপেক্ষা করে সরকার গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে, বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা করছে। দেশের টাকা পাচারকারী, ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎকারীদের সহায়তা করা আর জনগণের উপর ভ্যাট ট্যাক্স করের বোঝা চাপানোর এই সরকারের বিরুদ্ধে বাম গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’ বাসদ (মার্কসবাদী)’র নেতা জহিরুল ইসলামও এই সরকারের বিরুদ্ধে বাম গণতান্ত্রিক শক্তির প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

জনজীবনের সমস্যা সমাধানের দাবিতে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ ও গণতান্ত্রিক বামমোর্চা ঐক্যবদ্ধভাবে এই বিক্ষোভ সমাবেশ করে। সমাবেশে অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের সমন্বয়ক হামিদুল হক, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা শহীদুল ইসলাম সবুজ। সমাবেশ পরিচালনা করেন সিপিবি ঢাকা মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডা. সাজেদুল হক রুবেল।

/এসটিএস/এমও/