‘এতিমখানার টাকা এদিক-সেদিক করতে পদ্ধতিগত ভুল’

গণতান্ত্রিক ছাত্রদলের প্রতিবাদী সভায় বক্তব্য রাখছেন কর্নেল অলি আহমেদ (ছবি: সাদ্দিফ অভি)এলডিপির সভাপতি কর্নেল অলি আহমেদ বলেছেন, ‘জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের টাকা আত্মসাৎ হয়নি। তবে এই ট্রাস্টের টাকা এদিক-সেদিক করতে পদ্ধতিগত ভুল থাকতে পারে।’ মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে গণতান্ত্রিক ছাত্রদলের প্রতিবাদী সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

কর্নেল অলি বলেন, ‘স্বাধীনতার পর এ দেশে অনেক মামলা হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে অনেক দুর্নীতি মামলা ছিল। সেগুলো প্রত্যাহারও হয়েছে। শুধু খালেদা জিয়ার মামলায় সাজা হয়েছে। যে ট্রাস্টের টাকার কথা আত্মসাৎ উল্লেখ করা হয়েছে তা আত্মসাৎ হয়নি। ট্রাস্টের ২ কোটি টাকা বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ৬ কোটি টাকা হয়েছে। তবে টাকা এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় নিয়ে আসার মধ্যে পদ্ধতিগত ভুল থাকতে পারে।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের কোনও সম্পৃক্ততা নেই বলে মনে করেন কর্নেল অলি আহমেদ। তার অভিযোগ, এতে সরকারের শতভাগ হস্তক্ষেপ রয়েছে। এর কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘রায়ের ১৫ দিন আগে থেকেই নাজিম উদ্দিন রোডের কারাগারে ঘষামাজা চলছিল। আর একজন বিচারকের পক্ষে মাত্র ১০ দিনের মধ্যে এত বড় রায় লেখা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তার রায়ের দিন বৃহস্পতিবার ইচ্ছে করেই ধার্য করা হয়েছিল, যেন তার আইনজীবীরা জামিন আবেদন করতে না পারেন।’

এই রাজনীতিবিদের  অভিযোগ, ‘সরকার বিচার বিভাগকে নিজের কাছে কুক্ষিগত করে রেখেছে। এর প্রমাণ— সাবেক প্রধান বিচারপতিকে দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে।’

অভিযোগের সুরে অলি আহমেদের ভাষ্য, ‘আমরা এখন ছোট ছোট জনসভা করতে চাইলেও অনুমতি পাই না। অথচ ক্ষমতাসীন দল বড় বড় জনসভা করে বেড়াচ্ছে। বঙ্গবন্ধু আইন করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছিলেন, ক্ষমতাসীনরা কোনও কিছু ছাড়াই তা কায়েম করেছেন।’

শুধু খালেদা জিয়া নন, বর্তমান মন্ত্রিসভার কারও বিরুদ্ধে যদি মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হতো, এলডিপি প্রতিবাদ করতো বলে উল্লেখ করেছেন কর্নেল অলি। তার মন্তব্য— খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে সাজা দেওয়ায় দেশের ৭০-৭৫ শতাংশ লোক জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।