প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা ছিল আন্দোলন থামানোর অপকৌশল: খেলাফত মজলিস

খেলাফত মজলিসপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছিলেন সংসদে। কিন্তু এটি বাস্তবায়নে সরকারের গড়িমসি দেখছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। আমির মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাকের কথায়, ‘এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয়, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা ছিল ছাত্রদের আন্দোলন থামানোর অপকৌশল। এখন ছাত্রদের ওপর পৈশাচিক কায়দায় জুলুম-নির্যাতন চালানো হচ্ছে।’ বৃহস্পতিবার (৫ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজধানীর পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাকের অভিযোগ, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা সংস্কার আন্দোলনে সম্পৃক্ত শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ ও পুলিশ দিয়ে সরকার প্রকাশ্যে বর্বরোচিত আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে শিক্ষকদেরও লাঞ্ছিত করা হচ্ছে। অন্যদিকে সরকারের বিভিন্ন বাহিনী কোটা সংস্কার আন্দোলনে সম্পৃক্ত ছাত্রদের গ্রেফতার করে ও রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন চালাচ্ছে। ছাত্রদের ওপর এভাবে জুলুম-নির্যাতন কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
খেলাফত মজলিসের আমিরের ভাষ্য, ‘আন্দোলন দমনে সরকারের এই অপকৌশল কাজে আসবে না। সাধারণ ছাত্রদের ওপর জুলুম-নির্যাতন বন্ধ করে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের ন্যায্য দাবি সরকারকে মেনে নিতে হবে।’
বৈঠকে আরও ছিলেন খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের, নায়েবে আমির মাওলানা সৈয়দ মজিবর রহমান, অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান, যুগ্ম-মহাসচিব শেখ গোলাম আসগর, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, সাংগঠনিক ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, অধ্যাপক মুহাম্মদ আবদুল হালিম, অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান, মো. আবদুল জলিল প্রমুখ।