ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘সরকারি স্বাস্থ্য বুলেটিনে বলা হয়েছিল, মে মাস থেকে ডেঙ্গুর বিস্তার ঘটবে। প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা না নিলে পরবর্তী মাসগুলোতে তা ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে। সম্প্রতি গবেষণায় বলা হয়েছে ঢাকা ইজ সিটিং অন এ ডেঙ্গু টাইমবোম্ব।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে’ বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ড. কামাল বলেন, ‘অথচ সরকারি তথ্যমতে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বর্তমানে ৩০ হাজারের বেশি। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও মেয়রদের দায়িত্ব ছিল দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া। কিন্তু বাস্তবে তা দেখা যায়নি। বরং জনগণ লক্ষ করেছে ওষুধে ভেজাল, ক্রয়ে দুর্নীতি এবং ফগ মেশিন স্প্রে করার পদ্ধতিগত ত্রুটি রয়েছে।। এমনকী ফগম্যানদের স্প্রেকরারও যথাযথ প্রশিক্ষণ নেই।’
গণফোরাম সভাপতি বলেন, ‘ডেঙ্গুর ব্যাপকতায় রোগীদের জন্য রক্তের চাহিদা বেড়েছে, ব্লাড ব্যাংকগুলোতে সংকট দেখা দিয়েছে। ডেঙ্গু শনাক্তকরণের কিটও চাহিদা মতো পাওয়া যায়নি। সমগ্র দেশে ডেঙ্গু রোগী ও ডেঙ্গু আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।’ তিনি বলেন, ‘ডেঙ্গু নিয়ে দেশে-বিদেশে ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া ১ লাখ ৩ হাজার প্রতিবেদন, সংবাদ ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ ও প্রচারিত হয়েছে।’
কামাল হোসেন বলেন,‘‘জনগণকে আরও বেশি সচেতন করার লক্ষ্যে সরকারি-বেসরকারিভাবে পদক্ষেপ নেওয়া করা জরুরি। এমন জাতীয় দুর্যোগে প্রয়োজন ছিল ‘সমন্বিত জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায়’ সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় ও জনগণকে সম্পৃক্ত করা।’’ কিন্তু সেই অবস্থা এখনও দৃশ্যমান নয় বলেও তিনি অভিযোগ করেন।