এরআগে, মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) পার্টির মূল নেতৃত্বের বিচ্যুতির কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন বিমল বিশ্বাস।
পদত্যাগপত্রের চিঠিতে বিমল বিশ্বাস উল্লেখ করেছিলেন, ‘কৌশলের নামে ওয়ার্কার্স পার্টি তার নীতিকে জলাঞ্জলি দিচ্ছে। আওয়ামী লীগের সঙ্গে কৌশলগত যে ঐক্য, তাকে কাজে লাগানো হয়েছে এমপি ও মন্ত্রী হওয়ার জন্য। লুটেরা ধনিক শ্রেণির যেকোনও দলই সমাজ বিপ্লবকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে মূলগতভাবেই শত্রু।’
বিবৃতিতে মেনন ও বাদশা বলেন, ‘‘বিমল বিশ্বাস দীর্ঘদিন পার্টির সাধারণ সম্পাদকই ছিলেন না, পার্টির নিয়মনীতি প্রণেতাদেরও একজন ছিলেন। চিঠিতে তিনি পার্টির আদর্শচ্যুতি সম্পর্কে যেসব বিষয় উল্লেখ করেছেন, তার প্রতিটি ক্ষেত্রে তিনি সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নের দায়িত্বেও ছিলেন। ১৪ দল গঠন, নির্বাচনে ‘নৌকা’ প্রতীক গ্রহণ এসব প্রতিটি সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রেই তিনি পাইওনিয়ার ছিলেন।’’
দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, ২৬-২৭ অক্টোবরে অনুষ্ঠিতব্য পলিটব্যুরো ও কেন্দ্রীয় কমিটি সভায় বিমল বিশ্বাসের পদত্যাগের চিঠির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে উল্লেখ করা হয় বিৃবিতে।
বিমল বিশ্বাসের চিঠির কারণে বিভ্রান্ত না হয়ে ২ থেকে ৫ নভেম্বর পার্টির দশম কংগ্রেস সফল করার জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান মেনন ও বাদশা।
উল্লেখ্য, এর আগে ১৯ অক্টোবর ‘মেননের পার্টি ভাঙছে?’ শিরোনামে বাংলা ট্রিবিউনে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।