প্রবৃদ্ধি নির্ভর বাজেটের বিরোধিতা ওয়ার্কার্স পার্টির বাদশা'র

ফজলে হোসেন বাদশাকরোনার কারণে বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে প্রবৃদ্ধি নির্ভর বাজেটের বিরোধিতা করেছেন ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী-২ আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা। দেশের দারিদ্রতার হার বেড়ে ৪০ শতাংশে চলে যেতে পার বলেও তিনি শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

মঙ্গলবার (২৩ জুন) জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি একথা জানান।

বাদশা বলেন, ‘এই বাজেট অর্থমন্ত্রী অনেক চিন্তাভাবনা করে করেছেন। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে তিনি একটি প্রবৃদ্ধি নির্ভর বাজেট করেছেন। বিশ্বের অর্থনীতি যখন বিপর্যয়ের মুখোমুখি, উন্নয়ন খাত যখন বিপর্যস্ত তখন প্রবৃদ্ধি নির্ভর বাজেট করাটা ঠিক হয়নি। কারণ মনে রাখা দরকার ছিল এই সরকার দারিদ্র্য সীমা ২১ শতাংশের নিচে নামিয়ে এনেছিলেন। কিন্তু এটা এখন বেড়ে কত ওপরে উঠবে তা জানি না। এটা এমনও হতে পারে যে ৪০ শতাংশ মানুষ আবার দারিদ্র সীমার নিচে চলে যেতে পারে। কাজেই প্রবৃদ্ধি নির্ভর বাজেট এক্ষেত্রে অর্থনৈতিকভাবে কতখানি প্রযোজ্য সেটা ভেবে দেখতে হবে।’

করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যখাতে কম বরাদ্দ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যখাতে এই সময়ে যে বরাদ্দ করা হয়েছে তা অপ্রতুল। বিষয়টি ভেবে দেখতে হবে। প্রধানমন্ত্রী ১৯৯৬ সালে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠার শুরু করেছিলেন। সেটার ধারাবাহিক বিকাশ ঘটিয়ে তৃণমূলে স্বাস্থ্য সেবার ভিত্তি গড়ে তোলা গেলে আজ মোকাবিলার পথ খুঁজে পেতাম। কিন্তু সেই পথ ধরে আমরা এগুইনি।’

স্বাস্থ্য খাত নিয়ে নানা অভিযোগের কথা তুলে তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও এন-৯৫ মাস্ক কেনা নিয়ে  দুর্নীতি করা হচ্ছে। এই সময়ে যদি এই অভিযোগ আসে তার থেকে দুর্ভাগ্য কী হতে পারে? স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় একটি কাঠামোগত পরিবর্তন দরকার।

শিক্ষা ব্যবস্থা পিছিয়ে পড়ছে উল্লেখ করে তিনি অনলাইন পদ্ধতিতে শিক্ষা ব্যবস্থা পুরোদমে চালুর দাবি করেন। অনলাইন ভিত্তিক শিক্ষা চালুর পথকে প্রসারিত করতে তিনি ল্যাপটপ, কম্পিউটার ও মোবাইলের দাম কমানোর পাশাপাশি ঋণ সুবিধার প্রস্তাব করেন। প্রস্তাব করেন ইন্টাননেটের দাম কমানোরও।