তালেবানকে সমর্থন দিয়ে আফগানিস্তানে দূতাবাস খোলার আহ্বান জাফরুল্লাহর

আফগানিস্তানের তালেবান সরকারকে দ্রুত সমর্থন দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি তালেবানকে দ্রুত সমর্থন দেওয়া দরকার। যারা আগে সেখানে যেতে পারবে তাদের বেশি লাভ। তালেবানের সমস্ত কিছু আমরা মেনে নেবো - তা নয়। তালেবান একদিন দেখবে মেয়েরা স্কুলে গেলে কি হয় ‑ মেয়ে সন্তানদের একদিন তারাই বিদেশে রাষ্ট্রদূত বানাতে উৎসাহিত হবে। তাই আমি সরকারকে বলবো এখনই তালেবানকে সমর্থন দিয়ে সেখানে দূতাবাস খোলার ব্যবস্থা নিন।’

সোমবার (১১ অক্টোবর) সাভারে গণবিশ্ববিদ্যালয়ের ‘রাজনীতি ও প্রশাসন বিভাগ’ আয়োজিত ‘ইঙ্গ-মার্কিন প্রচারণা এবং আফগানিস্তান প্রশ্নে তালেবান’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

তালেবান প্রসঙ্গে জাফরুল্লাহ চৌধুরী আরও বলেন, আফগানিস্তানে তালেবান বিজয় লাভের পরই আমি বলেছি তারা মুক্তিযোদ্ধা। ২০ বছর স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করে তারা যদি মুক্তিযোদ্ধা না হয় তাহলে এক বছর যুদ্ধ করে আমরা কীসের মুক্তিযোদ্ধা।

তিনি বলেন, আফগানিস্তানের সম্পদ আছে। তাদের কৃষির মূল সম্পদ আফিমে। আফিমের সব ফ্যাইন্যান্স আমেরিকা ও ভারতের। আফিমের বিপক্ষে তারাই প্রচারণা চালায় আবার চুপেচুপে তারাই ফাইন্যান্স করে। আমি মনে করি ‑ আমাদের উচিত তালেবানকে মেনে নিয়ে তাদের সমর্থন দেওয়া। কারণ আমাদের স্বার্থ আছে। আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই বাংলাদেশের ভালো স্বার্থ আছে। তাদের যেই পশ্চাৎপদ মতামত – যোগাযোগ হলে আমরা তাদের উদ্বুদ্ধ করতে পারব। ওঠা-বসা, আলাপ-আলোচনা না করলে হবে না।

তিনি আরও বলেন, আমরা যদি আজ তালেবানকে বয়কট করি তবে প্রশ্ন জাগে আমরা কেনও পশ্চিমার কথায় পরিচালিত হবো? আমরা নিজের চিন্তাধারায় পরিচালিত হবো। আমি বলবো – যোগাযোগ হলে আফগানিস্তানে এই মুহূর্তে এক লাখ বাংলাদেশির কর্মসংস্থান হবে। তবে তালেবান বিজয়ের ফলে একটু সমস্যাও আছে। বড় সমস্যাটা হল ভারতে বিভক্তি হবে।

অধ্যাপক ডা. লায়লা পারভীন বানু’র সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাহমান চৌধুরী। আলোচনায় আরও অংশ নেন গণবিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, সাবেক রাষ্ট্রদূত এম সিরাজুল ইসলাম, সাবেক  নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন ও ড. তাসাদ্দেক আহমেদ।