মিথ্যাচার আর উন্নয়নের গল্প জনগণের জন্য বোঝা স্বরূপ: সুব্রত চৌধুরী

গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেছেন, কী ভয়াবহ পরিস্থিতি সামনে অপেক্ষা করছে আমরা জানি না। তবে বুঝতে পারছি—দেশের বিচার বিভাগ দুর্বল করে মানবাধিকার ব্যাপকভাবে লঙ্ঘিত হয়েছে বলেই বিশ্ব দরবারে আমাদের সম্মান ক্ষুণ্ণ হয়ে বিভিন্ন রকমের নিষেধাজ্ঞা আসছে। আমাদের পুলিশ বাহিনী, সামরিক বাহিনী ও প্রজাতন্ত্রের বিভিন্ন দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তিনি বলেন, একদল এটা নিয়ে প্রাথমিকভাবে মিথ্যাচার করলেও পরে রাষ্ট্রের জনগণের কষ্টার্জিত পয়সা খরচ করে লবিষ্ট নিয়োগ করেছে। এদের লজ্জাও নেই সারাদিন মিথ্যাচার করে আর উন্নয়নের গল্প শোনায়—যা আমাদের জনগণের জন্য বোঝা স্বরূপ।

শনিবার (১৫ জানুয়ারি) রাজধানীর মতিঝিলে গণফোরাম (একাংশ)  কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় সুব্রত চৌধুরী এসব কথা বলেন।

র‍্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রসঙ্গে সুব্রত চৌধুরী আরও বলেন, ‘গণফোরাম জনগণের মৌলিক অধিকার ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে এ দুঃশাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করে জনগণের শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করবে।’

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ বলেন, ‘কর্তৃত্ববাদী শাসনের অবসান ঘটানোর মাধ্যমেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। যেখানে গণতন্ত্র থাকে না সেখানে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয় না। আর সুশাসন প্রতিষ্ঠিত না হলে জনগণের ওপর অত্যাচার-অবিচার, জুলুম-নিপীড়ন চলতে থাকে।’

সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, আজ ১৫ জানুয়ারি থেকে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সারাদেশে একমাসব্যাপী সাংগঠনিক মাস পালন করবে গণফোরাম। সভায় দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম বৃদ্ধির লক্ষ্যে সারা বাংলাদেশকে ১০টি ভাগে ভাগ করে ১০টি সাংগঠনিক উপকমিটি ও  ৫টি সম্পাদকীয় উপ-কমিটি গঠিত হয়। সাংগঠনিক উপ কমিটিগুলো হলো—চট্টগ্রাম সাংগঠনিক উপকমিটি, মেঘনা সাংগঠনিক উপকমিটি, ময়মনসিংহ সাংগঠনিক উপকমিটি, ঢাকা সাংগঠনিক উপকমিটি, সিলেট সাংগঠনিক উপকমিটি, পদ্মা সাংগঠনিক উপকমিটি, খুলনা সাংগঠনিক উপকমিটি, বরিশাল সাংগঠনিক উপকমিটি, রাজশাহী সাংগঠনিক উপকমিটি, রংপুর সাংগঠনিক উপকমিটি, ঢাকা মহানগর সাংগঠনিক উপকমিটি।

সম্পাদকীয় উপকমিটি গুলো হলো—তথ্য ও গণমাধ্যম উপকমিটি, আইন উপকমিটি, ছাত্র উপকমিটি, যুব ও ক্রীড়া উপকমিটি, শিক্ষা উপকমিটি।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন—গণফোরাম নির্বাহী সভাপতি এ কে এম জগলুল হায়দার আফ্রিক, মহসিন রশিদ, সভাপতি পরিষদের সদস্য ফজলুল হক সরকার, রতন ব্যানার্জী, আতাউর রহমান, খান সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ।