আমদানির নামে টাকা পাচার করেন ব্যবসায়ীরা: মান্না

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ‘এখনও আমাদের যথেষ্ট পরিমাণে বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি করতে হয়। আমদানি যদি করেন ১০ টাকার, সরকারের ব্যবসায়ীরা সেটাকে বলে ১৬ টাকার করেছেন। বাকি ৬ টাকা তারা পাচার করেন।’

শুক্রবার (২০ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে নাগরিক যুব ঐক্য আয়োজিত এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মান্না বলেন, ‘সরকারি ব্যাংক থেকে প্রতিবছর ৭০ হাজার থেকে ১ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়। এছাড়া হুন্ডির মাধ্যমে ও বিভিন্ন উপায়ে আরও লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যায়। সরকার এ সম্পর্কে কিছু জানে না।’

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, ‘সরকারি ও আধা সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফর বন্ধ করে দিয়েছে। কারণ, তাদের কাছে বিদেশি ডলার নেই। আপনারা সরকারি কর্মচারীদের বিদেশ ভ্রমণ বন্ধ করেন, কিন্তু মন্ত্রীরা কোনও পয়োজন ছাড়া কী পরিমাণ বিদেশ গেছেন তার হিসেব করেন। শুধু সরকারি কর্মচারীদের দোষ দিলে লাভ কী হবে।’

মান্না বলেন, ‘করোনার সময় সরকার আমাদের সান্ত্বানা দিয়েছে, আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ভালো আছে। আরও বেশি বেশি টাকা আসছে। যখন বৈদেশিক মুদ্রার দাম কমার কথা তখন আরও বাড়ছে, সরকার মিথ্যা কথা বলে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সরকার জডিপি-রিজার্ভের কথা বলে আমাদের মিথ্যা তথ্য দেয়। বাংলাদেশে যে পরিমাণ রিজার্ভ আছে, তা দিয়ে আর মাত্র ৫ থেকে ৬ মাস বিদেশি ব্যয় মিটাতে পারবে। এরপর আর ব্যয় মিটাতে পারবে না। তার মানে সরকার দেউলিয়া হতে বসছে।’

প্রতিবাদ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, নাগরিক যুব ঐক্যের নেতারা।