ক্ষমা চাইলে জামায়াতের শক্তি বাড়বে: ডা. জাফরুল্লাহ

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী মনে করেন, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতার জন্য জামায়াত দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইলে দলটির শক্তি অনেক বৃদ্ধি পাবে। তিনি বলেন, ‘জনসাধারণের সামনে আবারও তাদের ক্ষমা চাইতে হবে। এখনকার নেতারা তো মানবতাবিরোধী অপরাধ করেনি। তাদের পিতৃ-পুরুষরা করেছেন।’

বুধবার (২২ জুন) ধানমন্ডিতে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে (মান্নান হলে) এবি পার্টির উদ্যোগে ‘বন্যা ও জলাবদ্ধতার দায় সরকারের, মানবিক সংকট মোকাবিলায় সর্বোচ্চ অর্থ ও খাদ্য বরাদ্দের দাবিতে’ এক নাগরিক সংলাপে জাফরুল্লাহ চৌধুরী এসব কথা বলেন। দলের সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জুর পরিচালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন দলের আহ্বায়ক ও সাবেক সচিব এএফএম সোলায়মান চৌধুরী।

জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘‘জামায়াতের গোলাম আজমের সঙ্গে আমার একদিন কথা হয়েছিল। আমি উনাকে বলেছিলাম—ভুল হয়েছে, ক্ষমা চান না কেন? তিনি বললেন, ‘ক্ষমা তো একবার চেয়েছি।’ আমি বললাম, আমি তো দেখিনি। তখন তিনি বললেন, ‘আবারও চাইতে পারি।’ জামায়াত ক্ষমা চাইলে তাদের শক্তি আরও বৃদ্ধি হবে। সামনে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সব দলকেই শরিক হতে হবে। এতে আন্দোলনের শক্তি বাড়বে।’’

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন—রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. দিলারা চৌধুরী, নদী বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী ইনামুল হক, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট মহসীন রশিদ, এনডিপি চেয়ারম্যান খন্দকার গোলাম মোর্তুজা ও মানবাধিকার কর্মী রুবী আমাতুল্লাহসহ বিশিষ্ট নাগরিকরা।

রাজনৈতিক বিশ্লেষণ প্রফেসর ড. দিলারা চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের সেই সরকার কোথায়,  যে সরকার জনগণের কথা চিন্তা করবে? রাজনীতিবিদ  হলো সেই, যে মানুষ জনগণের পালস রিভিউ করতে পারে। মানুষ কী চায় সেটা জানতে পারে।’

বন্যা ব্যবস্থাপনায় এবি পার্টি আয়োজিত  (আমার বাংলাদেশ পার্টি) নাগরিক সংলাপে ১৪ দফা প্রস্তাব উপস্থাপন করেন এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী।