প্রথম কর্মসূচিতে গণতন্ত্র মঞ্চ

আমরা চাই দেশের গঠনমূলক পরিবর্তন

প্রথম কর্মসূচি পালন করলো গণতন্ত্র মঞ্চ। গত ৮ আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ পায় সাতটি দলের সমন্বয়ে গঠিত এই রাজনৈতিক মঞ্চ। সেদিনই তারা এই কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছিল। বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) প্রেস ক্লাবের সামনে তারা বিক্ষোভ সমাবেশে করেছে।

বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব বলেন, ‘দেশে সরকার নেই, ছারখার আছে। সরকার সিন্ডিকেটের হাতে চলে গেছে। সুইচ ব্যাংকে কাদের টাকা আছে, কেন তা প্রকাশ করা হচ্ছে না।’ তিনি বলেন, ‘তালিকাটা প্রকাশ করলেই বোঝা যাবে তারা কার লোক, তারা কোথায় আছে। এখন তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে যাদের লাভ দেওয়া হচ্ছে, তারা সিন্ডিকেটে আছে।’

সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে রব বলেন, ‘অবস্থা খুব খারাপ, বেসামাল। এখন বিছানা থেকে উঠতে পারছে না। গণতন্ত্র মঞ্চ নিয়ে দুঃস্বপ্ন দেখছে। গণতন্ত্র মঞ্চে যেসব নেতা আছেন, তাদের আপস করার কোনও ইতিহাস নেই। মরতে হলে মরবো, এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাবো। এই লড়াই গরিব মানুষের লড়াই। এই লড়াইয়ে জিততে হবে।’

সভাপতির বক্তব্যে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘আমরা শুধু সরকারের পদত্যাগই চাই না। আমরা চাই এই দেশের গঠনমূলক পরিবর্তন। আমরা দেশকে, দেশের মানুষকে বাঁচানোর জন্য সরকারকে হটাতে চাই।’

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘গণতন্ত্র মঞ্চ নিয়ে সরকারের ভয় শুরু হয়েছে। আমাদের ভয় পাওয়ার কারণ হচ্ছে—গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা সাধারণ মানুষের পক্ষে কথা বলবেন। আমরা শুরু থেকেই বলছি—এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। আর না হয় কঠিন থেকে কঠিনতর আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে হটানো হবে।’

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ নাকি বলেন, ‘এটা আমাদের প্রথম কর্মসূচি। এই সরকারকে বিদায় করা না পর্যন্ত আমরা মাঠে আন্দোলন চালিয়ে যাবো।’

গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর বলেন, ‘আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নামতে হবে। আমাদের লক্ষ্য এক—এই ফ্যাসিবাদ সরকারকে সরিয়ে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা।’

বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসনাত কাইয়ুম প্রমুখ।