দাবি না মানলে দুর্বার আন্দোলন: চরমোনাই পীর

দাবি না মানলে দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পতনের ডাক দেবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইসলামী আন্দোলনের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। তিনি বলেন, ‘ইসলাম বিদ্বেষীদের নীলনকশা বাস্তবায়নে ধর্মীয় শিক্ষা বাদ দেওয়ার নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। সরকারের সব উন্নয়ন ও  শরিয়াহবিরোধী আইন পাস না করার ঘোষণা চরম ধোঁকায় পরিণত হয়েছে।’

বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে পরীক্ষায় ধর্মশিক্ষা বহাল, শিক্ষা সিলেবাসে ডারউইনের বিবর্তনবাদ বাতিল এবং শিক্ষার সর্বস্তরে ধর্মশিক্ষা বাধ্যতামূলক করার দাবিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় অভিমুখে গণমিছিলপূর্ব সমাবেশ চরমোনাই পীর এসব কথা বলেন।

সমাবেশ শেষে একটি গণমিছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয় অভিমুখে রওনা দিয়ে পল্টন মোড়, জিরো পয়েন্ট হয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় দিকে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। পরে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানীর নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল শিক্ষা সচিবের হাতে স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন।

সমাবেশে ইসলামী আন্দোলনের আমির বলেন,  ‘সরকার একদিকে থানায় থানায় দৃষ্টিনন্দন মসজিদ নির্মাণ করছে, অপরদিকে প্রথম শ্রেণি থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি পর্যন্ত ধর্মীয় শিক্ষা পাবলিক পরীক্ষা থেকে বাদ দিয়ে জাতির সঙ্গে ধোঁকাবাজি করছে। আপনি মসজিদ বানাচ্ছেন, এই মসজিদে নামাজ কারা পড়বে, যদি ইসলামী শিক্ষার ব্যবস্থা না থাকে। সরকারের সব উন্নয়ন ও শরিয়াহবিরোধী আইন পাস না করার ঘোষণা চরম ধোঁকায় পরিণত হয়েছে।’

চরমোনাই পীর বলেন, ‘আমাদের সন্তানদের নাস্তিক ও ধর্মহীন বানাতে দিতে পারি না। ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশ বাংলাদেশে আজানের সুরে মানুষের ঘুম ভাঙে, আজানের আওয়াজে ছেলেমেয়েরা ঘরে ফিরে যায়। এ দেশে ইসলাম নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না। মুসলমানদের তীব্র প্রতিবাদ সত্ত্বেও সরকার নাস্তিক্যবাদী শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের চেষ্টা করলে দেশের ধর্মপ্রাণ জনতা জীবন ও রক্ত দিয়ে তা প্রতিহত করবে।’

দলের কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূমের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত জমায়েতে বক্তব্য রাখেন দলের মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, সহকারী মহাসচিব মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ ও মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, কে এম আতিকুর রহমান, শহিদুল ইসলাম কবির, মাওলানা আরিফুল ইসলাম প্রমুখ।