পশ্চিমবঙ্গে তিস্তায় খাল খননে ওয়ার্কার্স পার্টির উদ্বেগ

তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পের আওতায় পশ্চিমবঙ্গ সরকার উজানে তিস্তার পাশে আরও দুটি খাল কেটে তিস্তার অবশিষ্ট পানি প্রত্যাহারের যে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চলেছে বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে তাতে বাংলাদেশ, বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের মানুষ চরমভাবে উদ্বিগ্ন বলে মনে করে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি।

সোমবার (১৩ মার্চ) দলের সভাপতি রাশেদ খান মেননের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পার্টির পলিটব্যুরোর সভায় এ মত উঠে আসে। মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) বিকালে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

পলিটব্যুরোর সভায় তিস্তা অঞ্চলের মানুষের এই উদ্বেগ সম্পর্কে বলা হয়, ইতোপূর্বে পশ্চিমবাংলার গজলডোবায় শুকনো মৌসুমে পানি প্রত্যাহার করায় তিস্তা অঞ্চলের মানুষ চরম বিপর্যয়ের মুখে রয়েছে। শুকনো মৌসুমে পানি না পাওয়া ও বর্ষা মৌসুমে পানি ছেড়ে দিয়ে তিস্তা অববাহিকার বাংলাদেশ অঞ্চলে প্লাবন ও ভাঙ্গন সৃষ্টি নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। আন্তর্জাতিক নদী তিস্তার পানি বণ্টনের ব্যাপারে বাংলাদেশ ভারত একটি সমঝোতায় উপনীত হলেও পশ্চিমবঙ্গের মমতা ব্যানার্জী সরকারের আপত্তিতে শেষ মুহূর্তে তা আর সই হতে পারেনি। তারপর থেকে অদ্যাবধি বারো বছর হয়ে গেলেও ভারত সরকার ওই  চুক্তি সম্পাদনের ব্যাপারে বারবার আশ্বাস দিয়ে আসলেও তা এখনও সই হয়নি।

“এই অবস্থায় তিস্তার পাশে দু’টি খাল কেটে আরও পানি প্রত্যাহার করা হলে বাংলাদেশের ‘তিস্তা সেচ প্রকল্প’ পানি সংকটে কেবল অকার্যকর হয়ে পড়বে না তিস্তা অববাহিকায় বাংলাদেশ অঞ্চল মরুভূমিতে পরিণত হবে। অন্যদিকে বর্ষায় প্লাবন ও ভাঙন মানুষের দুর্গতিকে আরও চরমে পৌঁছে দেবে।” বলে উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।

ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর প্রস্তাবে বলা হয়, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তিস্তায় আরও দু’টি খাল খননের বিষয় বাংলাদেশ সরকারের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। অপরদিকে ভারতও এ ব্যাপারে নিশ্চুপ। এই অবস্থায় পার্টি উভয়ের তরফ থেকে বিষয়টি খোলসা করা এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকার এ ধরনের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিলে তা অবিলম্বে বন্ধ করা এবং তিস্তা চুক্তি সংক্রান্ত ইতিপূর্বেকার সমঝোতাকে অবিলম্বে চুক্তিতে রূপদান ও তার বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়।

আরও পড়ুন:

তিস্তায় খাল খনন করছে পশ্চিমবঙ্গ, বাংলাদেশে পানি সংকটের শঙ্কা