রেজা কিবরিয়ার সঙ্গে গণঅধিকারের আচরণ ন্যক্কারজনক: ইনসাফ কমিটি

জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমরা বারবারই বলেছি— জাতীয় ইনসাফ কমিটি কোনও রাজনৈতিক দল নয়। এই সংগঠনটি ২০১২ সালে খালেদা জিয়ার প্রেরণায় সম্পূর্ণ নির্দলীয় সংগঠন হিসেবে গড়ে তোলা হয়। এটি সম্পূর্ণভাবে একটি মানবাধিকার সংগঠন। মানবাধিকার সংগঠন হিসেবে কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আমাদের বিন্দুমাত্র কোনও প্রতিযোগিতা নাই।’

ইনসাফ কমিটি বিবৃতিতে আরও জানায়, ‘আমরা আশা করবো গণঅধিকার পরিষদ তাদের বিভ্রান্তি ও অভ্যন্তরীণ কোন্দল কাটিয়ে উঠবে।’

বুধবার (২১ জুন) দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়। এদিন দুপুরে এই বিবৃতি নিজের ফেসবুকেও শেয়ার করেন সংগঠনের আহ্বায়ক কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহার। 

‘গণঅধিকার পরিষদের অভ্যন্তরীণ কোন্দল সম্পর্কে জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটির বিবৃতি’ শীর্ষক শিরোনামে বলা হয়েছে, ‘সম্প্রতি গণঅধিকার পরিষদের অভ্যন্তরীণ বিবাদে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, তা দুঃখজনক। নিজেদের অভ্যন্তরীণ বিবাদকে ধামাচাপা দেবার জন্য জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটিকে অপ্রাসঙ্গিকভাবে টেনে আনা হয়েছে। এটা অনাকাঙ্ক্ষিত এবং অন্যায়। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।’

জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটির সভায় বক্তব্য রাখছেন ফরহাদ মজহার (ফাইল ফটো)এতে বলা হয়, ‘আমাদের কর্মসূচিতে সব রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনকে আমরা আমন্ত্রণ জানাই। সেই সুবাদে গণঅধিকার পরিষদের ড. রেজা কিবরিয়াকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল এবং তিনি এসেছেন বলে আমরা তার কাছে কৃতজ্ঞ। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মানবাধিকার বাস্তবায়নের প্রতি তার সংকল্প ও অঙ্গীকার আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে।’

‘কিন্তু জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটির অনুষ্ঠানে তার অংশগ্রহণকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে গণঅধিকার পরিষদ তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলকে যেভাবে নগ্ন উপায়ে উন্মোচন করেছে, তা ন্যক্কারজনক ও নিন্দনীয়’ বলে উল্লেখ করেন ইনসাফের নেতারা।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘কোনও কিসিমের গণবিরোধী, মানবাধিকারবিরোধী এবং ক্ষমতাসীন ফ্যাসিস্ট শক্তির দোসরের অপপ্রচারে জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটিকে টলানো যাবে না। ভিত্তিহীন অভিযোগ অনৈতিক এবং বিদ্যমান ফ্যাসিস্ট শক্তি ও রাষ্ট্র ব্যবস্থার বিরুদ্ধে জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনকে সজ্ঞানে দ্বিধাবিভক্ত করার তৎপরতা। আমরা এদের নিন্দা করি।’

‘ফ্যাসিস্ট শক্তি ও ব্যবস্থার বিরুদ্ধে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করাই আমাদের সবার কাজ হওয়া উচিত, বিভক্তি ও বিভাজন নয়। আজগুবি ও ভিত্তিহীন  অভিযোগ জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটির প্রস্তাবনাকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলার অক্ষমতা বলেই আমরা মনে করি। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই’ বলা হয় বিবৃতিতে।