রবিবার বিক্ষোভ

বিরোধী জোটের কর্মসূচিতে পুলিশ নির্মমভাবে আক্রমণ করেছে: বাম গণতান্ত্রিক জোট

বাম গণতান্ত্রিক জোট কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সদস্যরা এক বিবৃতিতে অভিযোগ করেছেন, ‘বিএনপি-গণতন্ত্র মঞ্চসহ বিভিন্ন দল ও বিরোধী জোটের কর্মসূচিতে পুলিশ নির্মমভাবে আক্রমণ করেছে। নির্যাতন করেছে এবং নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করেছে। আওয়ামী লীগের তথাকথিত শান্তি সমাবেশ থেকে যে ভাষায় নেতারা বক্তব্য রেখেছেন— তাতে বোঝা যায়, তারা একটি সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতির দিকে দেশকে নিয়ে যেতে চাইছে।’

শনিবার (২৯ জুলাই) বিকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়।

বিবৃতিতে আরও  বলা হয়, বিএনপিসহ বিরোধী দলের কর্মসূচির ওপর আক্রমণ-হামলা-গ্রেফতার বন্ধ করতে হবে। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।

যৌথ বিবৃতিতে বাম গণতান্ত্রিক জোট কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সমন্বয়ক মাসুদ রানা, সিপিবির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ্ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলীর  নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘দেশের প্রায় সব সক্রিয় বিরোধী দলই নির্দলীয়, নিরপেক্ষ, তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে একমত এবং তারা নিজ নিজ অবস্থান থেকে সে দাবি তুলছে। এরইমধ্যে এটি একটি জনদাবিতে পরিণত হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার সেই দাবির প্রতি কর্ণপাত না করে বিরোধী দলের আন্দোলনকে নির্মমভাবে দমন করছে। জনগণের কাছে এটা স্পষ্ট যে, আওয়ামী লীগ আগের মতো এবারও একটি প্রহসনের নির্বাচন আয়োজন করতে যাচ্ছে। এটা জনগণ হতে দিতে পারে না।’

‘আমরা দেখেছি যে, আজ  বিএনপি, গণতন্ত্র মঞ্চসহ বিভিন্ন দল ও জোটের কর্মসূচি চলাকালে পুলিশ নির্মমভাবে আক্রমণ করেছে।’

তারা বলেন, ‘আমরা অবিলম্বে সংসদ ভেঙে দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারকে পদত্যাগ করার দাবি জানাই। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, নির্দলীয় তদারকি সরকার গঠন করে তার অধীনে নির্বাচন আয়োজন করা ছাড়া এই পরিস্থিতিতে আর কোনও সমাধান সম্ভব নয়, গ্রহণযোগ্যও নয়।’

বাসদ (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় নির্বাহী ফোরামের সদস্য সীমা দত্ত জানান, রবিবার (৩০ জুলাই) বিকাল ৪টায় পল্টন মোড়ে বাম জোটের উদ্যোগে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে একটি প্রতিবাদ সমাবেশ হওয়ার কথা রয়েছে।