প্রধানমন্ত্রী বরাবর আলেমদের স্মারকলিপি

অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য মামুনুল হকের মুক্তি অপরিহার্য

দেশের কয়েকজন বিশিষ্ট আলেম ও তরুণ রাজনীতিক বলেছেন, অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য মাওলানা মামুনুল হকসহ আলেমদের মুক্তি অপরিহার্য। যদি শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন করতে হয় তাহলে আলেম-ওলামাদের দ্রুত মুক্তি দিতে হবে। না হলে এ দেশে কোনও নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না।

রবিবার (২০ আগস্ট) সারা দেশে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেওয়ার আগে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তারা এসব কথা বলেন।

শায়খুল হাদিস পরিষদের সভাপতি মাওলানা তাফাজ্জুল হক আজিজের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মাওলানা হাসান জুনাইদের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন পরিষদের সহ-সভাপতি মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মাওলানা আবুল হাসানাত জালালি, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা ফজলুর রহমান।

মামুনুল হকসহ কারাবন্দি আলেমদের মুক্তি না দিলে দেশের পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন শায়খুল হাদিস পরিষদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও বেফাক মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক। তিনি বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কারাবন্দি আলেমদের মুক্তি এবং আলেম-ওলামা ও তৌহিদি জনতার বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছি। সরকার দাবি মেনে না নিলে আমরা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।’

মামুনুল হকসহ কারাবন্দি আলেমদের দ্রুত মুক্তি এবং তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা ‘মিথ্যা মামলা’ প্রত্যাহারের দাবি জানান মাওলানা তাফাজ্জুল হক আজিজ।

মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন বলেন, ‘সরকারের একটি মহল আলেম-ওলামাদের অপবাদ দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে বন্দি করে রেখেছে। অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য মাওলানা মামুনুল হকসহ আলেমদের মুক্তি অপরিহার্য। এ বছর আপনারা যদি শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন করতে চান তাহলে আলেম-ওলামাদের দ্রুত মুক্তি দিন। না হলে এ দেশে কোনও নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না।’

ঢাকার সমাবেশে আরও ছিলেন শায়খুল হাদিস পরিষদের মিরপুর জোনের সভাপতি মুফতি শফিকুল ইসলাম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাওলানা এহসানুল হক, মাওলানা আব্দুল মুমিন প্রমুখ।

সংগঠনের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মাওলানা আল আবিদ শাকির জানান, কেন্দ্রের ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা, বরিশাল, ময়মনসিংহ, রংপুর, কুমিল্লা, নরসিংদী, গাজীপুর, শরীয়তপুর, নারায়ণগঞ্জ, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর,  হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ, জামালপুর, নেত্রকোনা, ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নোয়াখালী, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, পঞ্চগড়,  কুড়িগ্রাম, ভোলা, বগুড়াসহ দেশের প্রায় সব জেলায় জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়।