গণসংহতি আন্দোলনের ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

সরকারের পতন পর্যন্ত সংগ্রাম চলবে: জোনায়েদ সাকি

২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করেছে গণসংহতি আন্দোলন। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) জাতীয় স্মৃতিসৌধে সব শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করে দলটি। এ সময় দলের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত অবৈধ ভোট ডাকাত এই সরকার পদত্যাগ করবে না এবং একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হবে না, ততক্ষণ পর্যন্ত সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।’

জোনায়েদ সাকির নেতৃত্বে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে জনগণের মুক্তিসংগ্রামের সব শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। এই শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণে উপস্থিত ছিলেন দলের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য তাসলিমা আখ্তার, সম্পাদকমণ্ডলির সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, জুলহাসনাইন বাবু এবং কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা আলিফ দেওয়ান ও জাতীয় পরিষদের সদস্য মাহবুল খাঁন সেন্টু প্রমুখ।

শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠানে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘বাংলাদেশে নির্বাচন ছাড়াই একটা ফ্যাসিস্ট ব্যবস্থা কায়েম আছে। এই ব্যবস্থায় জনগণের ভোটাধিকার ও গণমানুষের স্বার্থের জন্যে আমরা সংগ্রাম করে যাচ্ছি। একটা গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসেবে আমরা জনগণের সামগ্রিক মঙ্গলের স্বার্থে কাজ করছি।’

তিনি বলেন, ‘দেশে এখন সর্বাত্মক ভোটাধিকারের লড়াই চলছে। এই ভোটাধিকার ও ফ্যাসবাদবিরোধী লড়াই হচ্ছে ১৮ কোটি মানুষের লড়াই। ভোটাধিকার কোনও বিশেষ রাজনৈতিক দলেরও লড়াই নয়, সব রাজনৈতিক দলের লড়াই। যে যার অবস্থান থেকে ও স্বতন্ত্র অবস্থান থেকে দেশে যুগপৎ লড়াই চলছে। এই ফ্যাসিস্ট শাসনকালে যখন নিপীড়ন, নির্যাতন ও দুঃশাসনে পুরো দেশ ও জনগোষ্ঠী গভীর যাঁতাকলের নিচে পতিত, তখন এই ব্যবস্থার উচ্ছেদ না করে মানুষের মুক্তি অসম্ভব।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই রাষ্ট্রকে একটা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফেরাতে হলে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে হবে। আর সেটা একমাত্র হতে পারে এই সরকারের পদত্যাগের মধ্য দিয়ে, একটা জাতীয় রাজনৈতিক বন্দোবস্তের মাধ্যমে এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে পরে। আর আমরা এও জানি, নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরও বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অগণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এবং সাংবিধানিক স্বৈরতন্ত্র উচ্ছেদ করতে হলে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের সংগ্রামকে বেগবান করতে হবে।’

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিকালে রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আলোচনা সভা ডেকেছে গণসংহতি আন্দোলন।

উল্লেখ্য, ২০০২ সালের ২৯ আগস্টের এই দিনে সাম্রাজ্যবাদবিরোধী ছাত্র সংগঠন, শ্রমিক, নারীদের সংগঠন-সহ ৯টি সংগঠনের সমন্বয়ে যৌথ রাজনৈতিক জোট হিসেবে গণসংহতি আন্দোলন যাত্রা শুরু করে,  পরবর্তীকালে ২০১৫ সালে রাজনৈতিক পার্টি গঠন করা হয়।