গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর বৈষম্য কমেনি, বরং তা আরও বেড়েছে। যা ছাত্র-জনতার আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এমনটি চলতে দেওয়া যায় না।
সোমবার (৩০ জুন) দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে শ্রম ভবনের সামনে বাংলাদেশ দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
‘দৈনিকভিত্তিক সাময়িক শ্রমিক নীতিমালা ২০২৫’ বাতিল করে সরকারি দফতর, অধিদফতর, পরিদফতর ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কর্মরতদের বয়স শিথিল করে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে স্থায়ী করার এক দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচিতে সকাল থেকেই সেখানে অবস্থান নেন কয়েকশ শ্রমিক। এ সময় তারা বিভিন্ন স্লোগান দেন।
জোনায়েদ সাকি বলেন, প্রায় অর্ধলাখ কর্মচারী রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নামেমাত্র পারিশ্রমিকে দীর্ঘ দিন সেবা দিয়ে আসছেন। কিন্তু তারা তাদের ন্যায্য মর্যাদা পাচ্ছেন না। সরকার এখনও পর্যন্ত তাদের পরিচয়ই ঠিক করতে পারেনি। চাকরি নিয়ে কোনও ধরনের নীতিমালা করেনি। তারা উৎসব ভাতা, চিকিৎসা ভাতা ও বার্ষিক নৈমিত্তিক ছুটি থেকে বঞ্চিত।
আমরা মনে করি, এক রাষ্ট্রে দুই নীতি চলতে পারে না। শ্রমিকের অধিকার রক্ষায় শ্রম অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। সরকারি প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে। দৈনিক মজুরিভিত্তিতে নিয়োগ পাওয়া কর্মীদের ইউনিয়ন করার সুযোগ দিতে হবে। যাতে করে তারা নিজেদের অধিকার নিয়ে আন্দোলন করতে পারেন।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিজ্ঞান গবেষণাগারে মাসে ২২ দিনের বেতন দেওয়া হয়। এমন অনেক প্রতিষ্ঠানই নীতিমালার অপব্যবহার করছে। তিনি এ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
বিক্ষোভ সমাবেশে বাংলাদেশ দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের আহ্বায়ক মো. বোরহান উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন— অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান ইসমাইল ও অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান লিংকসহ অন্যান্য শ্রমিক নেতা।
শ্রমিক নেতা মো. বোরহান উদ্দিন জানান, এ কর্মসূচিতে প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর, জাতীয় চিড়িয়াখানা, সমাজসেবা, রেলওয়ে, জনস্বাস্থ্য ও বাংলাদেশ মেডিক্যালসহ বিভিন্ন সেক্টরের দৈনিক মজুরিভিত্তিতে কাজ করা কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেছেন। তিনি এ দাবি বাস্তবায়নে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।