দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় রিপাবলিক প্রতিষ্ঠা করতে হবে: আ স ম রব

দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় রিপাবলিক প্রতিষ্ঠা করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব।

রবিবার (৩ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের অডিটোরিয়ামে ‘২ মার্চ ঐতিহাসিক পতাকা উত্তোলন দিবস' উপলক্ষে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। 

আ স ম আবদুর রব বলেন, ‘বর্তমান সরকার জনগণের ভোটাধিকারকে হরণ করে, অন্যায়, অনৈতিক ও অপশাসন কায়েম করে— মুক্তিযুদ্ধের কবর রচনা করেছে। সব অপকর্মে বঙ্গবন্ধুর নাম ব্যবহার করে বঙ্গবন্ধুকে ক্ষোভের লক্ষ বস্তুতে পরিণত করেছে। সুতরাং, জাতীয়, ভূ-রাজনৈতিক ও সামাজিক বাস্তবতায় আমাদেরকে রণনীতি রণকৌশল নির্ধারণ করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘এখন লড়াই করতে হবে রাষ্ট্রকে পুনরুদ্ধারের জন্য, রাষ্ট্র পুনর্গঠনের জন্য এবং জনগণের অংশগ্রহণমূলক রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রণয়ন করার জন্য। প্রচলিত ব্যক্তিকেন্দ্রিক বা শুধুমাত্র দলকেন্দ্রিক রাজনৈতিক ব্যবস্থা ছুড়ে ফেলে দিতে হবে। কারও কারও জন্য নয়, সবার জন্য রাষ্ট্র তৈরি করতে হবে। আর নবতর এই লড়াইয়ের নাম দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ— যা ধ্বংসপ্রাপ্ত, দুর্বৃত্ত বৈশিষ্ট্যপূর্ণ এবং ব্যর্থ রাষ্ট্রকে উচ্চতম মানবিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রূপান্তর করবে।’

দেশের সব নাগরিককে দলমত নির্বিশেষে সক্রিয়ভাবে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে জেএসডি সভাপতি বলেন, ‘এই দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধে প্রত্যেককে অর্থাৎ ছাত্র, শ্রমিক, পেশাজীবী, কর্মজীবী ও শ্রমজীবী সবাইকে স্ব স্ব জায়গা থেকে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। আন্দোলন ও দেশ গঠন তথা জাতি বিনির্মাণে সবাইকে সম্পৃক্ত করতে হবে। এ ধরনের কার্যকর আন্দোলনে একদিকে জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠবে, অপরদিকে সরকারের পতন ত্বরান্বিত করবে। এটা নিপীড়নমূলক বাংলাদেশকে বদলে দেবে, অন্যায় অবিচারের হাহাকার বন্ধ হবে। গণমুখী শাসন কায়েম হবে। এটাই দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের তাৎপর্যপূর্ণ দিক। দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় রিপাবলিক প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’

সভায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘সরকার আজকে হীনমন্যতার জায়গা থেকে ২ মার্চ এই দিবসটি পালন করেন না।’

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন— কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, জাতীয় শ্রমিক জোটের সভাপতি মেসবাহউদ্দিন আহমেদ, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ কায়সার, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু, গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হোসেন, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন প্রমুখ।