আহতদের দেখতে পঙ্গু হাসপাতালে গেলেন এবি পার্টির নেতারা

ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়ার দাবি জানিয়েছে আমার বাংলাদেশ পার্টি-এবি পার্টি। শনিবার (১৭ আগস্ট) এবি পার্টির এক প্রতিনিধি দল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ছাত্র-জনতার চিকিৎসার খোঁজ নিতে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) যায়।

হাসপাতালে আহতদের চিকিৎসার খোঁজখবর ও কর্তব্যরত চিকিৎসকদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু।

তিনি বলেন, ‘আহতদের অবস্থা আমাদের ধারণার চেয়েও অনেক বেশি খারাপ। হাসপাতালে হাত, পা, বুকে গুলিবিদ্ধদের কাতর-আহাজারিতে চোখের পানি আটকে রাখা কঠিন। চিকিৎসকরা বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস নিজে এসে রোগীদের খোঁজখবর নিয়েছেন, তাদের চিকিৎসার সার্বিক দায়ভার গ্রহণ করার কথা বলেছেন।’

আহত পঙ্গুরা নতুন বাংলাদেশে সৃষ্টির নায়ক উল্লেখ করে মঞ্জু বলেন, ‘তাদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। আমরা আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী কিছু আহতকে সহায়তা করার চেষ্টা করেছি। শুরু থেকেই দলের যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. আব্দুল ওহাব মিনারের নেতৃত্বে চিকিৎসা ও পুনর্বাসন বিষয়ে সার্বিকভাবে সমন্বয় কাজ চলমান আছে।’

তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘রাস্তায় ট্রাফিক কার্যক্রম পরিচালনা, রাস্তা পরিষ্কার, বিপ্লবের গ্রাফিতি অঙ্কনের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো হাসপাতালে যেসব লাশ ও আহতরা আছে, তাদের প্রতি মানবিক দায়িত্ব পালন করা।’

তিনি আহতদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসন কার্যক্রম তদারকির জন্য কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক মনিটরিং সেল গঠনের জন্য ছাত্রদের প্রতি পরামর্শ দেন।

প্রতিনিধি দলে আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার, বি এম নাজমুল হক, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, সিনিয়র সহকারী সদস্য সচিব এ বি এম খালিদ হাসান, সহকারী সদস্য সচিব এম আমজাদ খান, আনোয়ার ফারুক, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব সেলিম খান, যুগ্ম সদস্য সচিব সুমাইয়া শারমিন ফারহানা, মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সদস্য সচিব কেফায়েত হোসেন তানভীরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।