পূর্ববঙ্গের উত্থান ঠেকানো ব্যক্তিরা স্বাধীনতার স্বপ্নপুরুষ নয়: মামুনুল হক

খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, ‘যারা পূর্ববঙ্গর উত্থানকে ঠেকিয়ে রাখার জন্য ব্রিটিশদের সঙ্গে নিয়ে ষড়যন্ত্রের দানা বেঁধেছিল, তাদেরকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বপ্নপুরুষ হিসেবে কস্মিনকালেও মেনে নেওয়া হবে না।’

শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস। সমাবেশে সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা বক্তব্য দেন।

সভাপতির বক্তব্যে মামুনুল হক বলেন, ‘দেশের স্বার্থবিরোধী ফ্যাসিবাদী আওয়ামী গোষ্ঠী পালালেও তাদের ষড়যন্ত্র থেমে নেই। সচিবালয়ে আগুন, টঙ্গী হত্যাকাণ্ড ও ইসকনের আস্ফালন একই সূত্রে গাঁথা।

সমাবেশ থেকে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ করে বলেন, দেশবিরোধী শক্তিদের স্পেস দিলে আপনাদের স্পেস কমে যাবে। আপনাদের হাতে সময় সীমিত। এ সময় যথাযথভাবে কাজে লাগান।

ফ্যাসিবাদবিরোধী সকল রাজনৈতিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে মামুনুল হক বলেন, আমরা আর কোনও ফেলানিকে কাঁটাতারে ঝুলে থাকতে দেখতে চাই না। সীমান্ত রক্ষাকারীদের কোনও লাশ দেখতে চাই না।

আমির মজলিস মাওলানা ইসমাইল নূরপুরী বলেন, শেখ হাসিনার নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই। সে সন্ত্রাসী ছিল। ২০১৩ সালে যিকিররত মুসুল্লিদের উপর অতর্কিত হামলা করে অসংখ্য আলেম ও ইসলামপ্রিয় জনতাকে শহীদ করা হয়েছে। আজ অনেকেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমি মনে করি, এখনও নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হয়নি।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা এদেশ থেকে দেশের সব কাঠামো ধ্বংস করে পালিয়েছে। সুতরাং যারা বলে হাসিনা আবার ফিরে আসবে, স্পষ্ট করে বলতে চাই, তা কখনও সম্ভব না। তা আমরা হতে দেবো না। সরকারের বিভিন্ন সেক্টরে এখনও ফ্যাসিবাদের দোসররা রয়ে গেছে, তাদের ধরে প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে। তাহলেই এদেশে শান্তি ফিরে আসবে।

বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের ১৫ বছর পূর্তিতে যুব সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা ফজলুর রহমান, প্রকাশনা বিভাগের সম্পাদক মাওলানা রাকিবুল ইসলাম ও মজলিসে শূরা খাসের সদস্য মাওলানা ওয়ালী উল্লাহ মাহমুদের যৌথ পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দিন আহমাদ, মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মাওলানা কুরবান আলী, মাওলানা আব্দুল আজিজ, মাওলানা শরাফত হুসাইন, মাওলানা মাহবুবুল হক, মাওলানা তোফাজ্জল হুসাইন মিয়াজী, সাবেক সংসদ সদস্য মাওলানা অ্যাডভোকেট শাহিনুর পাশা চৌধুরী, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা নেছারউদ্দীন, বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাদিম আহমদ, বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি পরিষদ সদস্য মাওলানা আবুল হাসানাত জালালী, মাওলানা শরীফ সাইদুর রহমানও বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মাদ কামাল উদ্দীন।