জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেছেন, দেশের একটি বিশাল জনগোষ্ঠীকে কারিগরি শিক্ষার আওতায় আনা জরুরি। এ সেক্টরকে ঢেলে সাজাতে দ্রুত সংস্কার প্রস্তাব পেশ করবে এনসিপি। নিরাপদ প্রকৌশলই এর একমাত্র লক্ষ্য।
শনিবার (৩ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে কারিগরি শিক্ষার মান উন্নয়ন, সংস্কারপূর্বক বিকাশ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং বিদ্যমান বৈষম্য দূরীকরণে গঠিত "এনসিপি -ডিপ্লোমা প্রকৌশল উইং"-এর আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
নাসীরুদ্দীন জানান, প্রকৌশলী শেখ মো. মঈন উদ্দিনকে সমন্বয়ক, প্রকৌশলী শেখ মো. জামাল ও মো. সালাহউদ্দিনকে যুগ্ম সমন্বয়ক করে ৩৬ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি এনসিপি ডিপ্লোমা প্রকৌশল উইং প্রকাশ করা হয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে তারা একটি পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি গঠন করবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, কারিগরি সেক্টরে যারা কাজ করছেন, তাদের মর্যাদা একটি নতুন জায়গায় নিয়ে যেতে না পারলে নতুন বাংলাদেশ ও নতুন বন্দোবস্ত বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।
তাই সারা বাংলাদেশে যেসব পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট রয়েছে, সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য এনসিপি-ডিপ্লোমা প্রকৌশল উইং গঠন করা হয়েছে। বর্তমানে পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীদের একটি আন্দোলন চলমান। তারা একটি সংস্কার প্রস্তাবের মাধ্যমে নিজেদের মর্যাদা নিশ্চিত করতে চান। তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্যই আমাদের উইংয়ের যাত্রা শুরু।
নির্বাচন কমিশন থেকে যে সংস্কার প্রক্রিয়াগুলো রয়েছে, সেখানেও আমরা অংশগ্রহণ করছি। যে সহযোগী সংগঠনের কথা বলা হয়েছে, সেখানেও জাতীয় নাগরিক পার্টি নীতিমালা দিয়েছে। সে অনুযায়ী যেসব সহযোগী সংগঠন হবে, তারা সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করবে। তারা কোনও লেজুড়বৃত্তির সংগঠন হবে না বলে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, ভবিষ্যতেও আমরা তা অব্যাহত রাখবো।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার একটি ঘোষণা দিয়েছিল যে, তারা বাংলাদেশকে ম্যান্যুফেকচারিং হাব হিসেবে গড়ে তুলতে চায়, সেখানে পলিটেকনিক ও কারিগরি শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণের বড় একটি সুযোগ রয়েছে। এক সময় পলিটেকনিকের প্রতি একটি জোয়ার সৃষ্টি হয়েছিল।
কিন্তু বিগত সরকারের আমলে কিছু অসৎ লোকের কারণে কিছুটা স্থবির হয়ে পড়ে। তিনি আন্দোলনরত কারিগরি শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানে দ্রুত বোর্ড গঠন করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।