রাত পেরিয়ে দিনের আলো ফুটলেও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন আন্দোলনকারীরা। তবে রাতের তুলনায় জনসমাগম কিছুটা কমেছে। আন্দোলন শুরুর ৯ ঘণ্টা পার হলেও প্রধান উপদেষ্টার সাড়া পাননি তারা।
শুক্রবার (৯ মে) সকাল ৭টা পর্যন্ত যমুনার সামনে দেখা যায় আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধের দাবিতে মুহুমুহু স্লোগান দিচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। ফাঁকে ফাঁকে গান, হামদ ও কবিতা আবৃত্তিও চলছে।
এসময়, ‘ওয়ান টু থ্রি ফোর, আওয়ামী লীগ নো মোর’, খুনি লীগের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করতে হবে, ‘ক্ষমতা না জনতা, জনতা জনতা’, ‘ব্যান করো, ব্যান করো, আওয়ামী লীগ ব্যান করো’, ‘দিল্লি না, ঢাকা, ঢাকা-ঢাকা’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’, ‘গোলামি না আজাদী, আজাদী আজাদী’, ‘আওয়ামী লীগের আস্তানা, ভেঙে দাও, ঘুরিয়ে দাও’, ‘২৪ বাংলায়, আওয়ামী লীগের ঠাঁই নাই’, ‘লীগ ধর, জেলে ভর’, ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায় তাদের।
কর্মসূচির কারণে যমুনার সামনের সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে বিপুল সংখ্যক আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিত রয়েছে।
এদিকে দাবি আদায় না হওয়ায় পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চলবে জানিয়ে যমুনার সামনে আন্দোলনের মঞ্চ তৈরি করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।
তিনি বলেন, ‘আপনারা সবাই এখানে বসে পড়েন। একটু পর এখানে মঞ্চ তৈরি করা হবে। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত আমরা সবাই মঞ্চের সামনে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাবো।’
পরে মঞ্চ তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় বাঁশ, কাঠসহ অন্যান্য সরঞ্জাম জড়ো করতে দেখা যায়। তবে প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মঞ্চ তৈরির কোনও পদক্ষেপ দেখা যায়নি।
এরআগে ফজরের আজানের পর সারে ৪টা নাগাদ উপস্থিতি কমতে থাকে। এসময় এনসিপিসহ অন্যান্য সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতাদের চলে যেতে দেখা যায়। বিক্ষোভকারীদের একটি অংশ যমুনার সামনেই জামায়াত করে ফজরের নামাজ আদায় করেন। পরে আবার বিক্ষোভ শুরু করেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাত ১০টা থেকে যমুনার সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়। এতে জাতীয় নাগরিক পার্টি, জুলাই ঐক্য, শিবির, আপ বাংলাদেশ, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, কওমি মাদরাসার শিক্ষার্থী, ইনকিলাব মঞ্চ, খেলাফত ছাত্র মজলিস, ছাত্র পক্ষের নেতাকর্মীরা অংশ নিয়েছেন। প্রতিবেদন লেখা (সাড়ে ৭টা) পর্যন্ত ধীরে ধীরে উপস্থিতি বাড়তে দেখা গেছে।