বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে ‘জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন, ২০২২’ সংশোধন করে প্রণীত অধ্যাদেশের সরকারি গেজেট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের সংজ্ঞা নির্ধারণ অন্তর্বর্তী সরকারের এখতিয়ার না।
বুধবার (৪ জুন) সংবাদপত্রে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন।
বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর থেকেই সরকারের অভ্যন্তরে থাকা একটি গোষ্ঠী স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গে মিলে মুক্তিযুদ্ধকে কালিমা লেপন ও স্বাধীনতার চেতনাকে ম্লান করার অপপ্রয়াস চালিয়ে আসছে।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে মব সৃষ্টি করে দেশের নানা জায়গায় মুক্তিযুদ্ধের স্মুতিচিহ্ন ভেঙে ফেলা হয়েছে ও হচ্ছে। চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী আলবদর কমান্ডারদের দায়মুক্তি দেওয়া হচ্ছে; মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের লাঞ্ছিত করা হচ্ছে। সর্বশেষ মঙ্গলবার সরকারি গেজেটেও মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধা সম্পর্কে যে সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে তার ফলে গণমাধ্যমেও একেক ধরনের শিরোনাম সংবলিত খবর প্রকাশিত হচ্ছে; যা মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী মানুষের মধ্যে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
বিবৃতিতে ফিরোজ বলেন, অতীতে আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধকে দলীয়করণ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপরীতে দেশ পরিচালনা করে পরিবারতন্ত্র, লুটপাটতন্ত্র, স্বৈরতন্ত্র কায়েম করেছিল। বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের কথা বলে ’৭১ কে মুছে দিতে চাইছে এবং ’৭১ কে ’২৪ ও ’৪৭ দিয়ে প্রতিস্থাপন করতে চাইছে।
বিবৃতিতে তিনি জনমনে সৃষ্ট উদ্বেগ দূর করতে গেজেট সম্পর্কে সরকারের স্পষ্ট ব্যাখ্যা দাবি করেন। একইসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে সব চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।