গ্রাহক চাহিদার শীর্ষে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক

দেশের পুঁজিবাজারে যাত্রা শুরু করল চতুর্থ প্রজন্মের গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক। ১৬ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে তৃতীয় দিনের মতো চলছে ব্যাংকটির প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) আবেদন, যা ২০ অক্টোবর পর্যন্ত চলমান থাকবে।

দ্রুতবর্ধনশীল ব্যাংক হিসেবে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক প্রাথমিক গণপ্রস্তাবেও (আইপিও) বিনিয়োগকারীদের জন্য রেখেছে বিশেষ সুবিধা। প্রবাসীদের প্রাধান্য দিয়ে ২৫ শতাংশ শেয়ার বরাদ্দ রাখা হয়েছে। অবশিষ্ট ৭৫ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মাঝে বিনিয়োগ করা হবে। যেখানে বিনিয়োগকারীরা ১০ হাজার টাকা বা এর গুণিতক সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আইপিও আবেদন করতে পারবেন।

মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ব্যাংক ও আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো যেহেতু শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে থাকে, তাই বিনিয়োগকারীরা এ কোম্পানিগুলোতে বিনিয়োগ করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। এতে বাজারের স্থিতিশীলতা ও ভারসাম্য বজায় থাকে। সেদিক থেকে এখন পর্যন্ত বিনিয়োগকারীদের চাহিদার শীর্ষে রয়েছে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক।

আইপিওর মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থ তিন খাতে ব্যয় করবে জিআইবি
গত ১৫ জুন প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতিতে শেয়ারবাজার থেকে ৪২৫ কোটি টাকা মূলধন উত্তোলনের অনুমোদন পেয়েছে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৮২৭তম কমিশন সভায় এ আইপিও অনুমোদন দেওয়া হয়। আইপিওর মাধ্যমে প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যের ৪২ কোটি ৫০ লাখ শেয়ার ইস্যু করে শেয়ারবাজার থেকে ৪২৫ কোটি উত্তোলন করবে ব্যাংকটি। উত্তোলিত অর্থ এসএমই, সরকারি সিকিউরিটিজ ও শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করবে ব্যাংকটি।

দেশজুড়ে গ্রাহক সেবা নিশ্চিত ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড (জিআইবি)। শতভাগ শরিয়া ভিত্তিক ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে ইতোমধ্যে সারা দেশে ব্যাংকটির সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে।

গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে ব্যাংকিং চ্যানেলে নিয়ে আসতে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক শহর শাখার পাশাপাশি পল্লি শাখা সম্প্রসারণেও অধিকতর গুরুত্ব দিয়েছে এবং সিএমএসএমই খাতে বিনিয়োগকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। আর্থিক অন্তর্ভুক্তি কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নে ব্যাংকের ভূমিকা রয়েছে এবং সেই সঙ্গে কৃষি ও পল্লি খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে সরকারের এসডিজির লক্ষ্য অর্জনে কাজ করছে গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক।