লন্ডনে উচ্চপর্যায়ের প্যানেল আলোচনায় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের প্রশংসা

‘এমপাওয়ারিং উইমেন ইন মেরিটাইম অ্যান্ড ওশান ডিপ্লোম্যাসি’র উচ্চপর্যায়ের প্যানেল আলোচনায় মেরিন ইন্ডাস্ট্রিতে নারীদের অন্তর্ভুক্ত করাসহ এই শিল্পে নারীদের উৎসাহ দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন বক্তারা।

বুধবার বাংলাদেশ হাইকমিশন, লন্ডন ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অরগানাইজেশনের (আইএমও) আয়োজনে ওই অনুষ্ঠান হয়।

শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ হাইকমিশন, লন্ডনের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

আইএমও-তে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি এবং উইমেন ইন ডিপ্লোম্যাসি নেটওয়ার্ক (ডব্লিউডিএন), লন্ডনের সভাপতি বাংলাদেশ হাইকমিশনের কমিশনার সাদিয়া মুনা তাসনিমের সভাপতিত্বে রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার, আইএমওর স্থায়ী প্রতিনিধি, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞসহ ১০০ জনেরও বেশি প্রতিনিধি অংশ নেন।

উচ্চ পর্যায়ের এই আলোচনা সভায় অংশ নেওয়া বক্তারা (ছবি: সংগৃহীত)

বৈশ্বিক সামুদ্রিক শিল্পে নারীদের কম দৃশ্যমানতার কথা তুলে ধরে হাইকমিশনার বলেন, বিশ্বব্যাপী ১ দশমিক ২ মিলিয়ন স্বীকৃত নাবিকের মধ্যে মাত্র ১ দশমিক ২৬ শতাংশ নারী প্রতিনিধিত্ব করছেন। একইভাবে সামুদ্রিক শিল্পের ক্রুইং কর্মশক্তির মাত্র ২ শতাংশ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেরিন ইন্ডাস্ট্রিতে নারী ক্যাডেট নিয়োগের দূরদর্শী সিদ্ধান্তের জন্য গর্ববোধ করে সাদিয়া মুনা তাসনিম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে নেভিগেশনসহ বিভিন্ন ভূমিকার জন্য বছরে ১০০ জনেরও বেশি নারী নাবিক ও নাবিক নিয়োগ করা হয় এবং অফিসার, মেরিন ইঞ্জিনিয়ার, এমনকি সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট পদে ক্যাপ্টেনও নিয়োগ হয়। এই রূপান্তরমূলক প্রচেষ্টাগুলো ঐতিহ্যগতভাবে এতদিনকার পুরুষপ্রধান সামুদ্রিক শিল্পে লিঙ্গবৈচিত্র্যের প্রচারে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে।’

এ সময় বাংলাদেশের পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী নারী নাবিক ও নাবিকদের সামুদ্রিক শিল্পে অবদানের ওপর তৈরি একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করেছে বাংলাদেশ হাইকমিশন, যা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী সবার বিশেষ মনোযোগ ও প্রশংসা কুড়িয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগ পুরুষপ্রধান সামুদ্রিক শিল্পে লিঙ্গবৈচিত্র্যের প্রচারে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে (ছবি: সংগৃহীত)

উচ্চ পর্যায়ের এই আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন লিগ্যাল অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড এক্সটারনাল রিলেশনস ডিভিশনের ডিরেক্টর ডোরোটা লস্ট সিমিনস্কা, যুক্তরাজ্যে মালদ্বীপের হাইকমিশনার ড. ফারাহ ফয়জল, জর্জিয়ার আইএমও-এর রাষ্ট্রদূত এবং জনসংযোগ, কারেন-মে হিল ওবিইর সোফি কাস্ত্রাভা, অ্যান্টিগুয়া ও বারবুডার হাইকমিশন কারেন-মাই হিল ওবিই, স্টেট ডিপার্টমেন্ট ফর শিপিং অ্যান্ড মেরিটাইম কেনিয়ার প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি রাষ্ট্রদূত ন্যান্সি ডব্লিউ কারিগিথু, আইএমওর মার্শাল আইল্যান্ডের টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার এবং কার্গোস অ্যান্ড কন্টেইনার ক্যারেজ অন আইএমও সাবকমিটির চেয়ার মেরিয়ান অ্যাডামস, আইএমওতে আর্জেন্টিনার জনসংযোগ এবং ইউএস জারেড ব্যাংকসের জনসংযোগ ফার্নান্দা মিলিশে, সৌদি আরবের এপিআর হায়াত আল ইয়াবিস এবং এডিটর অব ম্যাগাজিন লন্ডনের সম্পাদক এলিজাবেথ স্টুয়ার্ট।