মুমিনুল-মাহমুদউল্লাহকে ছাড়াই অনুশীলন ম্যাচ

মুমিনুল-মাহমুদউল্লাহকে ছাড়াই অনুশীলন ম্যাচবুধবার শুরু হওয়ার কথা ছিল দুইদিনের প্রস্তুতি ম্যাচ। বৃষ্টি হলে যে সেটা পেছানো হবে তা জানা গিয়েছিল আগেই। তাই পরের দিন বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার মিলে শেষ হওয়ার কথা এই ম্যাচ।

অস্ট্রেলিয়া সিরিজের আগে নিজেদের ঝালাই করতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এই প্রস্তুতি। আর সেই প্রস্তুতিতেই ছিলেন না অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুমিনুল হক! তাদের বাদ দিয়েই অনুশীলন করেছে পুরো দল। এমনটা যে হতে যাচ্ছে তার আভাস বেশ কয়েকদিন ধরেই রয়েছে মিরপুরে।

আর প্রস্তুতি ম্যাচে সেই ঘটনার বাস্তব রূপ দিয়ে আরেকটি সংবাদই দিয়ে রাখলেন নির্বাচকরা! অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট স্কোয়াডে এই দুইজন থাকছেন না বলেই শোনা যাচ্ছে! যদিও প্রধান নির্বাচক দল ঘোষণার আগে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে নারাজ।

তবে জানা গেছে, টিম ম্যানেজমেন্ট ইতোমধ্যে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের জন্য ১৪ সদস্যের দল গঠন করে ফেলেছে। এই দলে জায়গা না পাওয়ারই সম্ভাবনা রয়েছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুমিনুল হকের। এর আগে, শ্রীলঙ্কা সফরে বাংলাদেশের শততম টেস্টেও দল থেকে বাদ পড়েছিলেন তারা দুইজন। বিতর্কের মাধ্যমে রিয়াদ স্কোয়াড থেকে বাদ পড়লেও মুমিনুল স্কোয়াডে থেকেও একাদশে সুযোগ পাননি।

উল্টো দিকে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারেন নাসির হোসেন! তার দলে ফেরার পথ প্রশস্ত হচ্ছে। চট্টগ্রামে ভালো ব্যাটিং করেই জানান দিয়েছেন নিজেকে। আজও খুব একটা খারাপ করেননি। মোসাদ্দেকের সঙ্গে বেশ খানিকক্ষণ সময় উইকেটে পড়ে থেকেছেন। বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপের শেষ দিকে নাসিরের ভূমিকা দারুণভাবে প্রশংসিত হয়ে আসছিল। তবে ২০১৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিক দল থেকে বাদ পড়ার পরই দুঃসময় শুরু হয় নাসিরের। মোসাদ্দেক হোসেনের আগমনে নাসিরের প্রত্যাবর্তন কঠিন হয়ে ওঠে। নাসির সর্বশেষ টেস্ট খেলেছিলেন ২০১৫ সালের আগস্টে।

এছাড়া মূল স্কোয়াডে ফেরার দৌড়ে রয়েছেন পেসার শফিউল ইসলামও। সম্প্রতি বাংলাদেশ দলের অনুশীলন পর্বের চট্টগ্রাম অংশে খেলে দারুণ পারফর্ম করেছেন। যার প্রমাণ দিয়েছেন আজও। তাসকিন-রুবেলও কম যাননি। সবমিলিয়ে মুস্তাফিজের সঙ্গে দুই বোলারকে খুঁজে নিতে বেশ বেগ পেতে হবে নির্বাচক প্যানেলকে। তবে অনুশীলন ম্যাচের সব কিছু ছাপিয়ে আসলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন মুমিনুল! তার বাদ পড়ার খবর নিয়েই বেশি আলোচনা। যদিও তার ভাগ্য এখনও নির্ধারণ হয়নি।

অবশ্য মুমিনুলের ফর্ম কিন্তু বাদ পড়ার পক্ষে কথা বলে না। অন্তত ২০টি টেস্ট ইনিংস খেলা বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে তার গড়ই সবচেয়ে ভালো। শুধু তাই নয়, ঘরের মাঠে সবচেয়ে বেশি গড় মুমিনুল হকেরই। তাই শেষ পর্যন্ত ১৪ জনের দলে তাকে দেখা না গেলে বিষয়টি বিস্ময়করই হবে।

/আরআই/এফআইআর/