কিম্বার্লিতে সাইফউদ্দিনের অভিষেক

কিম্বার্লিতে সাইফউদ্দিনের অভিষেকচলতি বছরের মার্চ-এপ্রিলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয়েছিল সাইফউদ্দিনের। ২০ ওভারের ক্রিকেটের পর এবার ৫০ ওভারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও নাম লেখালেন তরুণ এই অলরাউন্ডার। রবিবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে  বাংলাদেশের ১২৫ নম্বর খেলোয়াড় হিসেবে অভিষেক হচ্ছে সাইফউদ্দিনের।

টি-টোয়েন্টি দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার অভিষেকের ৬ মাসের মধ্যেই ৫০ ওভারের ক্রিকেটে ফেনীর এই ক্রিকেটারের অভিষেক হওয়ার মধ্য দিয়ে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের স্বপ্নের তরীটা একটু একটু করে এগিয়ে যাচ্ছে।

কার্যকর পেস বোলিং আর আক্রমণাত্মক ব্যাটিং তার প্রধান অস্ত্র। বাংলাদেশ দল দীর্ঘদিন ধরেই এমন একজন পেস বোলিং অলরাউন্ডারের খোঁজ করে আসছিল। অনেককে দিয়ে চেষ্টা করার পরও কেউ মন ভরাতে পারেনি। তাই টিম ম্যানেজমেন্ট আপাতত ভরসা রাখতে চাইছেন তরুণ সাইফউদ্দিনের ওপর। মোস্তাফিজুরের ইনজুরির কারণেই সাইফউদ্দিনকে বেছে নেওয়া সহজ হয়েছে।

প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ওয়ানডে স্কোয়াডে নিজের নাম দেখে তাই চোখে মুখে বিস্ময় ফুটে উঠেছিল তরুণ সাইফউদ্দিনের। যাওয়ার আগে বাংলা ট্রিবিউনের সঙ্গে আলাপকালে সাইফউদ্দিন বলছিলেন তার সেই রোমাঞ্চকর অনুভূতির কথা, ‘খুব ভালো লাগছে। বিশ্বাস করত পারছি না, আমি ওয়ানডেতে সুযোগ পেয়েছি। বাংলাদেশের জার্সিতে খেলাটা সব সময়ই অন্যরকম ব্যাপার। এই রোমাঞ্চ নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় যেতে চাই, চাই সুযোগটা কাজে লাগাতে।’

এখন সাইফউদ্দিনের অপেক্ষা সুযোগটা কাজে লাগানোর। বাংলাদেশের অনেকদিনের আক্ষেপটা পূরণ করে পেস বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের আধিপত্য জানান দেওয়া। সাইফউদ্দিনের অবশ্য নিজের প্রতি আস্থা রয়েছে, ‘আমার শক্তি হচ্ছে নিজের প্রতি বিশ্বাস এবং আস্থা। এই আত্মবিশ্বাসই আমাকে ভালো খেলতে উদ্বুদ্ধ করে।’

প্রসঙ্গত, ২৩ টি লিস্ট ‘এ’ ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে সাইফউদ্দিনের। ২৩ ম্যাচে ২৫০ রানের পাশাপাশি তার উইকেট সংখ্যা ৩৬টি। চলতি বছর ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়াতে এইচপি দলের হয়ে দুটি সফর করেছেন তিনি। সেখানে ব্যাট ও বল হাতে ভালো করে নির্বাচকদের নজর কেড়েছেন এই অলরাউন্ডার।