১৩৬ রানের জুটি ভাঙলেন রুবেল

 

Rubelপার্লে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামলেও সতর্কতার সঙ্গেই ব্যাট করছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। দুই ওপেনার কুইন্টন ডি কক ও হাশিম আমলা দেখে শুনে খেলে ফেলেন ১০ ওভার। উদ্বোধনী জুটিতে উঠে ৫০ রান। এক পর্যায়ে আরও হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছিল এই জুটি। শত রানের একেবারে কাছাকাছি ছিল। দলীয় ৯১ রানে এই জুটি ভেঙে প্রতিরোধের দেয়াল ভাঙেন সাকিব আল হাসান। ৪৬ রানে ব্যাট করতে থাকা কুইন্টন ডি কককে এলবিডাব্লিউ করেন। এরপর নতুন নামা ফাফ দু প্লেসিকেও থিতু হতে দেননি তিনি। একই ওভারের (১৮) শেষ বলে ঘূর্ণিজাদুতে বোল্ড করেন প্লেসিকে (০)।

হঠাৎ ২ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়লেও পরে দলকে সামাল দেন ডি ভিলিয়ার্স। আমলা নিজস্ব গতিতে খেললেও তুলনামূলক আগ্রাসী ছিলেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। অর্ধশতক তুলে নেন দুজনেই। এক পর্যায়ে শতকের কাছেই চলে যায় দুই জুটি। এর আগে অবশ্য ২০০ রান পার করে বড় সংগ্রহের ভিতটা গড়ে দেয় তারা। কিন্তু ৩৬তম ওভারে রুবেলের বলে মনোযোগ হারিয়ে বসেন ৮৫ রানে ব্যাট করতে থাকা আমলা। উইকেটের পেছনে মুশফিকুর রহিমকে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন। তার ৯২ বলের ইনিংসে ছিল ৪টি চার। এই জুটিতে আসে ১৩৬ রান। স্বাগতিকদের সংগ্রহ ৩৭.১ ওভারে ৩ উইকেটে ২৩২ রান। ডি ভিলিয়ার্স ব্যাট করছেন ৯১ রানে।  

কিম্বার্লিতে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে পার্লে দ্বিতীয় ম্যাচে সেই পথে পা আর বাড়ায়নি। এবার শুরুতে ফিল্ডিং নিয়েছে সফরকারীরা। চোট কাটিয়ে ফিরেছেন তামিম ইকবাল। অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিনের জায়গায় দলে ঢুকেছেন তিনি। আবার প্রোটিয়া দলে চোট নিয়ে বাইরে রয়েছেন ডেভিড মিলার।

এদিকে মুশফিককে নিয়ে শুরুতে অনিশ্চয়তা থাকলেও দ্বিতীয় ম্যাচে ঠিকই খেলছেন টেস্ট অধিনায়ক। গত ম্যাচ থেকে মাত্র একটি পরিবর্তনই আনা হয়েছে বাংলাদেশ দলে। অপর দিকে প্রোটিয়া দলের একাদশে ঢুকেছেন ফারহান বেহারদিয়েন।

সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশকে ১০ উইকেট হারিয়ে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে স্বাগতিকরা। দ্বিতীয় ম্যাচে তাই ঘুরে দাঁড়াতে প্রত্যয়ী বাংলাদেশ। তেমনটা মনে করেন ওপেনার তামিম ইকবাল। চোটের কারণে খেলতে না পারা এই তারকা বোলারদের ভূমিকা রাখার পক্ষেই কথা বলেছেন ম্যাচের আগে।