আইপিএলের সময় হবে না দ্বিপাক্ষিক সিরিজ!

পাল্টে যাচ্ছে ভবিষ্যৎ ক্রিকেটের কাঠামো!পাল্টে যেতে পারে বিশ্ব ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ চিত্র। ঠিক তেমনই আভাস পাওয়া গেছে সিঙ্গাপুরে হওয়া আইসিসির সভায়। ৭ ও ৮ ডিসেম্বর প্রধান নির্বাহীদের সেই সভায় বরাবরের মতো নতুন এই পরিকল্পনার পেছনে রয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা অনুযায়ী- আইপিএল চলাকালীন সময়ে থাকবে না কোনও দ্বিপাক্ষিক সিরিজ! অর্থাৎ সেসময় বড় বড় তারকাদের সেবা পেতেই সংশ্লিষ্ট দেশের খেলা থেকে তাদের মুক্ত রাখতে এমন পরিকল্পনার কথা উপস্থাপন করেছে বিসিসিআই।

যদি শেষ পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন হয়, তাহলে সেটা হবে ২০১৯ সালের পর থেকে। নতুন এই পরিকল্পনায় সব বোর্ড যে এক প্রকার সমর্থন দিয়েছে তার একটা আভাসও পাওয়া গেছে। তেমন কথাই জানিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড সংশ্লিষ্ট এক মুখপাত্র, ‘২০২০ সালের পর থেকে আইপিএল-ই হবে একমাত্র ও বড় ইভেন্ট।’তবে এক্ষেত্রে এখনও সম্মত হয়নি ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড আশা করছে ইসিবি কিছুদিনের মধ্যেই এতে সমর্থন দিয়ে দেবে।

বুঝাই যাচ্ছে আরও বেশি মুনাফার লোভে এমনটি করতে চায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। কাগজে কলমে ভারতের মোড়লগিরির অবসান দেখানো হলেও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড যে এখনও ছড়ি ঘোরাচ্ছে তার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে এখানেই। তেমনই আরেকটি পরিকল্পনার অংশ হলো আগের ‍তুলনায় আরও বেশি টি-টোয়েন্টি খেলতে চায় তারা। এফটিপিতে ওয়ানডে ও টেস্টের সংখ্যা অপরিবর্তিত থাকলেও ভারত আগের তুলনায় আরও বেশি টি-টোয়েন্টি খেলার পরিকল্পনা নিয়েছে। যেটা হবে ২০১৯ সাল থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে।

উদাহরণ হিসেবে আগের এফটিপিতে ভারত খেলতো ৩৬ টেস্ট, ৭৩ ওয়ানডে ও ১৮টি টি-টোয়েন্টি। নতুন পরিকল্পনায় দেখানো হয়েছে ভবিষ্যতে ভারত খেলবে ৩৭ টেস্ট, ৬৭ ওয়ানডে ও ৫৪টি টি-টোয়েন্টি! অর্থাৎ আগের তুলনায় বেশি টি-টোয়েন্টি খেলার দিকেই মনোযোগী ভারত!

এছাড়া নিজেদের ঘরোয়া মৌসুমে পরিবর্তন আনতে ভারত জানিয়েছে আগামীতে তারা অক্টোবর-নভেম্বরে ঘরের বাইরে কোনও ম্যাচ খেলবে না। তবে সেসময় এফটিপিতে অ্যাওয়ে ম্যাচ থাকলে সেটি ভেঙে খেলবে ভারত। এক সফরে টেস্ট খেলে আরেক সফরে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলার কথা জানিয়েছে বিসিসিআই।–ক্রিকবাজ।