বাংলাদেশকে ২১৬ রানে আটকে দিয়েছে জিম্বাবুয়ে

বড় জুটি গড়েছিলেন সাকিব-তামিমসাকিব-তামিমের জুটিতে ‍শুরুতে শক্ত অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ।  এই জুটিতে ভর করেই বড় সংগ্রহের স্বপ্ন দেখছিল স্বাগতিকরা।  কিন্তু ঝটপট উইকেট পতনে বিবর্ণ বাংলাদেশই ধরা দিয়েছে মঙ্গলবার। তাদের ৯ উইকেটে ২১৬ রানে আটকে দিয়েছে জিম্বাবুয়ে।

ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে সহজ জয়ে আগেই ফাইনাল নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ।  তাই মঙ্গলবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল ‘নিয়মরক্ষার।’ ম্যাচের শুরুতে হোঁচট খেয়ে বসেছিল বাংলাদেশ।  টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ তৃতীয় ওভারে হারায় প্রথম উইকেট।  কাইল জার্ভিসের বলে স্পষ্ট এলবিডাব্লিউতে সাজঘরে ফিরে গেছেন এনামুল হক বিজয়।  

এই প্রাথমিক ধাক্কা সামলে নেন অভিজ্ঞ দুই তারকা তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান।  হাফসেঞ্চুরির পথে ছিলেন দুজন।  সাকিব আগে হাফসেঞ্চুরি করে বিদায় নেন ৫১ রানে।  সিকান্দার রাজার বলে বাইরে এসে খেলতে গিয়েছিলেন সাকিব।  পরাস্ত হওয়ায় তাকে স্টাম্পড করেন টেলর।

সাকিব বিদায় নিলেও দলকে শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করিয়ে দিয়েছিলেন জুটি গড়ে।  যেই জুটিতে আসে ১০৬ রান।  অপর দিকে তামিমও তুলে নেন ফিফটি।  ধীরে ধীরে নিজের ইনিংস বড় করতে থাকেন বাঁহাতি ওপেনার।  সঙ্গী মুশফিক কিছুক্ষণ ইনিংস গড়ার চেষ্টা করলেও ব্যক্তিগত ১৮ রানে তাকে তালুবন্দি করান ক্রেমার।  এরপরেই ছন্দ হারায় বাংলাদেশ।  ধীরে ধীরে বাংলাদেশকে চাপে ফেলে দেন জিম্বাবুয়ের বোলাররা।  যার মূল ধসটা আসে লেগ স্পিনার ক্রেমারকে দিয়েই।  মুশফিককে ফিরিয়ে এক ওভার বিরতি দিয়ে নতুন নামা মাহমুদউল্লাহকেও সাজঘরে ফেরান তিনি।  মাহমুদউল্লাহ ফেরেন ২ রানে।  এরপর সেঞ্চুরির পথে থাকা তামিম ইকবালকেও স্টাম্পড করান। তামিম বিদায় নেন ৭৬ রানে।  তার ১০৫ বলের ইনিংসে ছিল ৬টি চার।

নতুন নামা সাব্বিরও থিতু হতে পারেননি এসময়।  কাইল জার্ভিসের শর্ট বলে ক্যাচ দিয়ে সাব্বির ফেরেন ৬ রানে।  ১৭০ রানে ৮ উইকেট হারানো বাংলাদেশের ইনিংসে শেষ দিকে পুঁজি সমৃদ্ধ করার চেষ্টায় ছিলেন সানজামুল ও মোস্তাফিজুর রহমান।  চাতারা সানজামুলকে ১৯ রানে ফেরালে পরবর্তী কাজ শেষ করেন মোস্তাফিজুর রহমান ও রুবেল হোসেন।  নাইটওয়াচম্যানদের মিনি ঝড়ে ৯ উইকেটে ২১৬ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।  মোস্তাফিজ ২২ বলে অপরাজিত ছিলেন ১৮ রানে।  রুবেল এক ছয়ে অপরাজিত ছিলেন ৮ রানে। 

জিম্বাবুয়ের পক্ষে ১০ ওভারে ৩২ রান দিয়ে একাই ৪ উইকেট নেন লেগ স্পিনার গ্রায়েম ক্রেমার। ৪২ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন কাইল জার্ভিস। একটি নেন সিকান্দার রাজা।