ডেনমার্ককে রুখে দিলো অস্ট্রেলিয়া

ম্যাচের একটি মুহূর্ত।বিশ্বকাপে ৮ পর বছর ফিরেছিল ডেনমার্ক। প্রথম ম্যাচ জিতে অপেক্ষায় ছিল শেষ ষোলোর পথে এক পা দিয়ে রাখতে। তাদের সেই পথে কাঁটা হয়ে দেখা দিলো অস্ট্রেলিয়া। বৃহস্পতিবার ‘সি’ গ্রুপের ম্যাচটিতে তাদের ১-১ গোলে রুখে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।

গত ম্যাচে ভাগ্য সহায় ছিল হয়তো। পেরু পেনাল্টি মিস করলে ফলটা ভিন্নরকম হলেও হতে পারতো। তবে আজকের ম্যাচে আর কোনও ভুল হয়নি। ডেনমার্ক প্রথমার্ধে অগ্রগামিতা পেলেও হ্যান্ডবলের কল্যাণে পাওয়া পেনাল্টিতে অস্ট্রেলিয়া গোল শোধ করে দেয় এই অর্ধেই।

অথচ প্রথম ম্যাচে দারুণ খেলা ডেনমার্ককে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ফেভারিটই বলা হচ্ছিল। শুরুর দিকে দলটি আক্রমণের পসরা সাজিয়ে এর প্রমাণ দিয়েছিল বেশ কয়েকবার।

সামারা অ্যারানায় শুরুর দিকে গোছানো ছিল ডেনমার্ক। আক্রমণের ধারায় গিয়ে এগিয়ে যায় খেলার সপ্তম মিনিটে। মিলিত আক্রমণ থেকেই এগিয়ে যায় তারা। ফরোয়ার্ড নিকোলাই ইয়োরগেনসেনের বাড়ানো লাফিয়ে ওঠা বলে বক্সের মাঝ থেকে জাল কাঁপান মিডফিল্ডার ক্রিস্টিয়ান এরিকসেন।

দ্বিতীয় মিনিটে এগিয়ে যেত পারতো ডেনমার্ক। দারুণ এক হেড করেছিলেন থোমাস ডিলানি। যদিও জালের ঠিকানা খুঁজে পায়নি তার সেই শট।

পেনাল্টিতে গোল করেন জেডিনাকমাঝে প্রতি-আক্রমণে গিয়ে চেষ্টা করেছিল অস্ট্রেলিয়া। তাতে গোলমুখ উন্মুক্ত আর হয়নি। শেষ দিকে ভাগ্যের ছোঁয়াতেই সমতায় ফেরে অসিরা। ৩৭ মিনিটে ডি-বক্সে কাণ্ড বাধিয়ে বসেন ডেনমার্কের ফরোয়ার্ড ইউসুফ পলসেন। পেনাল্টি এরিয়ায় অপ্রত্যাশিত হ্যান্ডবল করে বসেন। তাতে রেফারি অনফিল্ডে সিদ্ধান্ত নাকচ করে দিয়েছিলেন। ভিডিও রিভিউ নেওয়ার পর দেখা মিলে হ্যান্ডবলের। তাতে স্পটকিক থেকে গোল করেন মাইল জেডিনাক। সঙ্গে হলুদ কার্ডও মেলে পলসেনের।

দ্বিতীয়ার্ধে তুলনামূলক ছন্নছাড়া ছিল ডেনমার্ক। ৫১ মিনিটে ডেনমার্ক মিডফিল্ডার পাওনি সিস্টো ডান পায়ে শট নিয়েছিলেন বক্সের কেন্দ্র থেকে। লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় সেই শট। বিপরীতে অস্ট্রেলিয়া ছিল আরও খুনে মেজাজে। ৭০ থেকে ৭২ মিনিট টানা কয়েকটি আক্রমণ শানিয়েছিল তারা। দুর্দান্ত কিছু শট নিলেও জালের ঠিকানা খুঁজে পায়নি একটিও। শেষ দিকে আরও ত্রাস ছড়ায় অসিরা। ডেনমার্কের রক্ষণ ভেঙে জালের কাছে পৌঁছেও গিয়েছিল ৮৭ মিনিটে। দারুণ সেই শট গিয়ে জমা পড়ে গোলরক্ষকের হাতে। অতিরিক্ত সময় যোগ হলেও ব্যবধানে আর হেরফের হয়নি। তাই ড্র নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হলো ডেনমার্ককে। দীর্ঘদিন পর ফেরায় তাদের পরের রাউন্ডে যেতে হলে জিততেই হবে পরের ম্যাচে।

২ ম্যাচে ১টি জয় আর ড্রয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে ডেনমার্ক। অস্ট্রেলিয়া একটি হার ও ড্র নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। তাদের সংগ্রহ ১ পয়েন্ট। ফ্রান্স এক ম্যাচে একটি জয় নিয়ে রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে।